অর্ণব আইচ: অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় টলিপাড়া। আত্মহত্যা না খুন? তা নিয়ে চলছে বিস্তর চর্চা। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে পল্লবীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অভিনেত্রীর প্রেমিক সাগ্নিকের বয়ান যাচাই করে দেখছে পুলিশ।
গড়ফার গাঙ্গুলিপুকুর এলাকার বহুতলে থাকতেন পল্লবী। সাগ্নিকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি। দু’জনে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। রবিবার সকালে সাগ্নিকই পল্লবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তরুণ অভিনেত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, একই ফ্ল্যাটে দু’টি আলাদা ঘরে থাকতেন সাগ্নিক ও পল্লবী। কিন্তু পরে পুলিশকে সাগ্নিক জানান, তাঁরা একই ঘরে ছিলেন। সকাল ন’টা নাগাদ সিগারেট খেতে বাইরে যান তিনি। ফিরে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। জানলা দিয়ে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দরজা ভেঙে প্রেমিকাকে উদ্ধার করেন।
[আরও পড়ুন: শুধুমাত্র কানের দুল কিনতে ভেনিস গিয়েছিলেন! একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট অপরাজিতা ]
এদিকে পল্লবীর পরিবারের দাবি, সাগ্নিক দিনকয়েক আগে আচমকা অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন। সে কথা পল্লবী জানতেন না। পরে তা জানতে পেরেই অশান্তি চরমে ওঠে। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাগ্নিক। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে নাকি পল্লবীর প্রেমিক জানিয়েছেন, আর্থিক কারণেই প্রবল চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস ইএমআই-তে কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘মন মানে না’ সিরিয়ালের পর তেমন কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই ইএমআই কীভাবে শোধ করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বারবার পল্লবীকে বোঝানের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি সাগ্নিকের।
সাগ্নিকের এই বক্তব্য যাচাই করছে পুলিশ। পল্লবীর মৃত্যুর যে সময় সাগ্নিক জানিয়েছেন, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলেই খবর। অস্বাভাবিক মৃত্যুরই তদন্ত আপাতত করছে পুলিশ। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা হবে।