সুপর্ণা মজুমদার: ‘সত্যান্বেষী’, ‘পথের কাঁটা’, ‘মাকড়সার রস’, ‘অর্থমনর্থম্’ থেকে ‘রক্তমুখী নীলা’, ‘রক্তের দাগ’, ‘মগ্নমৈনাক’, ‘চোরাবালি’ – সাতটি সফল সিজনের শক্ত মাটির উপর দাঁড়িয়ে ‘ব্যোমকেশ’ সিরিজ। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ‘ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল’ (Byomkesh O Pinjrapol)। যার চারটি এপিসোডে শুধুই অনির্বাণ ভট্টাচার্যর (Anirban Bhattacharya) দাপট।
সত্যান্বেষীর চরিত্রকে যেন নিজের অভ্যাসে পরিণত করেছেন অনির্বাণ। আর তা প্রতিমুহূর্তে বোঝা যায়। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চিড়িয়াখানা’ অবলম্বনে তৈরি ব্যোমকেশের এই নতুন চারটি এপিসোড। যেখানে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনের অপেক্ষায় দিন গুনছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেই কলোনি প্রধান নিশানাথ ব্যোমকেশের কাছে আসে পুরনো অপরাধী লাল সিংয়ের ফিরে আসার আশঙ্কা নিয়ে। সেই ঘটনা দিয়েই শুরু হয় কাহিনি।
[আরও পড়ুন: মন্দির চত্বরে ‘লুঙ্গি’ পরে উদ্দাম নাচ! ক্ষিপ্ত প্রাক্তন ক্রিকেটারের তোপের মুখে সলমন খান]
নিশানাথের মৃত্যুতে দানা বাঁধে রহস্য। আর সেই রহস্যের সমাধান পেতেই অজিতকে নিয়ে কলোনিতে পৌঁছায় ব্যোমকেশ। বিজয়, ভুজঙ্গ, বনলক্ষ্মী, দময়ন্তী, নেপাল দাশ, নজর বিবি, ব্রজ, মুশকিল মিঞাঁ— একাধিক সন্দেহজনক চরিত্র। তার মধ্যে থেকেই খুনিকে খুঁজে বের করতে হবে। পরিচালক সুদীপ্ত রায় কাউকে নকল করার চেষ্টা করেননি। তাঁর গল্প বলার ঢঙে নিজস্বতা রয়েছে। আর প্রায় প্রত্যেক চরিত্রেই তিনি আনকোরা অভিনেতাদের নিয়েছেন এবং যাঁরা নিজের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করেছেন।
তবে এ সিরিজে সত্যবতী হিসেবে ঋধিমা ঘোষকে সেভাবে পাওয়া গেল না। আর অজিতের চরিত্রে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় নিজের ভূমিকা পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সিরিজের কয়েক মুহূর্ত বেশ ধীর গতির। তবে সিরিজের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যার কথা বলতে হয় তিনি অনির্বাণ। অভিনয়ের পাশাপাশি এ সিরিজে তিনি সৃজনশীল পরিচালকের দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। আর দুই ভূমিকাতেই তাঁর দাপট বোঝা গিয়েছে।
ওয়েব সিরিজ – ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল
অভিনয়ে – অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ঋধিমা ঘোষ, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, বাবু দত্ত রায়, মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্বার শর্মা, অনুষ্কা চক্রবর্তী, সম্পূর্ণা মণ্ডল, কৌশিক হাফিজি, দীপান্বিতা সরকার, সৌমিক মৈত্র, সঞ্জয় পাল, সুশোভন রায়, বুদ্ধদেব দাস, মানস মুখোপাধ্যায়,
পরিচালনায় – সুদীপ্ত রায়