সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ অ্যাক্টিভ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। শ্রীলেখার কাছে এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াই হল প্রতিবাদের প্রধান হাতিয়ার। তা সমসাময়িক রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হোক কিংবা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। সব কিছু নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। তবে এবার প্রতিবাদ তো করলেন, কিন্তু একেবারেই অন্যভাবে!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। ফেসবুকে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ”আমার ইচ্ছে রয়েছে, এই জন্মদিনে আমার আসল বয়স ফাঁস করব সবার কাছে। আর প্রমাণ করব বয়স আসলে একটা সংখ্যামাত্র। বয়স নির্ভর করে জিন এবং নিজেকে কতটা ভালবাস তার উপর, অবশ্যই যদি তোমার চিকিৎসক সুস্থতার সার্টিফিকেট দেয় তো! আর যাঁরা আমার বয়স নিয়ে কটাক্ষ করে কিংবা অন্য কাউকেও কটাক্ষ করে তাঁদের বলতে চাই বয়স হওয়াটা মৃত্যুর মতোই সত্য।”
শ্রীলেখার পোস্টে তাঁর বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকে তো বলেছেন শ্রীলেখা এখনও সুইট সিক্সটিন। তবে শ্রীলেখার উত্তর ৩০ আগস্ট জন্মদিনের দিনই হাতে প্রমাণ নিয়ে ফাঁস করবেন তাঁর আসল বয়স।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বয়স ও প্রেম নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন শ্রীলেখা। বয়সের সঙ্গে কি প্রেমের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে? বয়স আর প্রেম কি ব্যস্তানুপাতিক? প্রেমে ওঠাপড়ার বয়স কি নির্দিষ্ট? প্রেমের মতো সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে এমনই হাজার প্রশ্ন তো ঘোরাফেরা করে মনের মধ্যে। হয়ত যে যার নিজের মতো করে উত্তরও খোঁজেন। ঠিক যেমনটা করছেন টলি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Actress Sreelekha Mitra)। তাঁর মনে হচ্ছে, প্রেমে পড়ছেন না, প্রেমের অনুভূতি থেকে বেরিয়ে আসার অনুভূতিও নেই। বুড়ো হলে বোধহয় এমনটাই হয়। নিজের ফেসবুক (Facebook Post) পোস্টে এমনই লিখলেন শ্রীলেখা। আর তাতে তাঁর অনুগামীদের নানা প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ মজাও করছেন অভিনেত্রীর ‘প্রেমে’র পোস্টটি নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ভালর সঙ্গে মন্দের লড়াই, নায়ক সইফ, খলনায়ক হৃত্বিক, ‘বিক্রম ভেদা’র টিজারে চমক ]
শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন – ‘আর প্রেমে পড়ি বা উঠি না…এইবার বুড়ো হচ্ছি বোঝা যাচ্ছে।’ তার নিচে জনৈক অনুরাগীর মন্তব্য, ”যত দিন যাচ্ছে, তুমি বিকশিত হচ্ছো, তোমার লাবণ্যের ছটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে তুমি তো শরীরপ্রেমী নও, মস্তিষ্কপ্রেমী। সেই লেভেলের পাচ্ছো না, তাই প্রেমে পড়ছো না।” এখন প্রেম শরীরজাত না হৃদয়জাত নাকি মস্তিষ্কজাত – তা নিয়ে বিস্তর তর্কবিতর্ক রয়েছে। তবু যদি শ্রীলেখার অনুগামীর কথাই ধরা যায়, তাহলে সেই মন্তব্যের সঙ্গে একমত অভিনেত্রী? কমেন্টের উত্তরে তেমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। ছোট্ট একটি শব্দ – ‘হুম’। এতেই স্পষ্ট শ্রীলেখার মতামত। প্রেম তাঁর কাছে শরীরজাত নয়, বরং বিপরীতে থাকা মানুষটির মেধাই তাঁর কাছে চৌম্বক আকর্ষণ। তো কারও মধ্যে কি সত্যিই তা খুঁজে পাচ্ছেন না?