সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও সংঘাতের পথে রাশিয়া (Russia) ও ইউক্রেন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে মস্কো হামলা চালালে পালটা জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি।
[আরও পড়ুন: ৫০ বছরেও অধরা! বিমান অপহরণ করে অন্ধকারে মিলিয়ে যাওয়া সেই ‘যাত্রী’ আজও নিখোঁজ]
বেশ কয়েকবছর ধরে পূর্ব ইউক্রেনে সরকারি বাহিনী ও ‘রাশিয়ার মদতপুষ্ট’ বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা ওই অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে পৃথক করে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করতে চায়। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে যখন ২০১৪ সালে হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। তারপর থেকেই অধুনা সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি অভিযোগ জানিয়েছেন যে মস্কো কলকাঠি নেড়ে তাঁর সরকারকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। ইতিমধ্যে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। এই পরিকল্পনা বেশ কয়েকজন রুশ নাগরিক জড়িত বলেও অভিযোগ করেন জেলেন্সকি।
শুক্রবার কিয়েভে এক সম্মেলনে জেলেন্সকি বলেন, “সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ফৌজের গতিবিধি বাড়িয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা দিচ্ছে রাশিয়া। এটা ইঙ্গিত যে আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।” একইসঙ্গে তিনি স্পষ্ট এবং দৃঢ়ভাবে জানান, মস্কো সৈন্য অভিযান চালালে পালটা দিতে তৈরি ইউক্রেনের ফৌজ। এদিকে, ইউক্রেনের উপর হামলা চললে ফল ভোগ করতে হবে রাশিয়াকে বলে হুমকি দিয়েছেন ন্যাটো সামরিক জোটের প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।