সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজাখস্তানের বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে রাশিয়াই। স্পষ্ট এই কথা জানিয়ে দিলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তাঁর মতে, বিমান দুর্ঘটনার আসল কারণ চাপা দিতে চাইছে মস্কো। গোটা ঘটনায় রাশিয়ার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেই দাবি করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।
কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব তীরে কাজাখস্তানের আকতু শহরের কাছে থেকে একটি ফাঁকা জায়গায় বিমানটি ভেঙে পড়েছিল আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমান। দুর্ঘটনার সময় বিমানকর্মী-সহ এতে মোট ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। কাজাখস্তানে জরুরি অবতরণ করতেও চেয়েছিলেন পাইলট। তবে অবতরণের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। প্রথম থেকেই এই দুর্ঘটনায় রাশিয়ার ভূমিকা রয়েছে বলে মত ছিল ওয়াকিবহাল মহলের।
এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়, 'ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।' পুতিনের এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রশ্ন ওঠে, কেন তিনি ক্ষমা চাইলেন? তবে কি দুর্ঘটনার পিছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে? অনেকে মনে করেন, ইউক্রেনের বিমান ভেবে এটিকে গুলি বা মিসাইল ছুড়ে নামানো হয়েছে। আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার নেপথ্যে ‘বহিরাগত এবং প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ’ হতে পারে।
বিতর্কের মধ্যেই সরাসরি রাশিয়াকে তোপ দাগেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। দেশীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যাত্রীবাহী বিমানে রাশিয়া গুলি চালিয়েছে। সেই জন্যই মারাত্মক পরিণতি হয়েছে ওই বিমানের। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার কারণ ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। দাবি করছে, ভুলবশত এমন ঘটনা হয়েছে। আলিয়েভের বার্তা, নিজেদের দোষ স্বীকার করে রাশিয়ার উচিত অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। সেই সঙ্গে বিমান দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ্যে আনতেও রাশিয়াকে বার্তা দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট।