অর্ক দে, বর্ধমান: পরিবেশ রক্ষায় গাছের (Tree) পরিচর্যা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি হল পূর্ব বর্ধমানে। বাংলা নববর্ষের দিনই এই হাসপাতালের সূচনা হয়েছে। মানুষ, পশুপাখি সকলেরই চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু যারা পরিবেশে রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে, সেই নির্বাক গাছেদের জন্য এতদিন কোনও ব্যবস্থা ছিল না কোথাও মেমারির পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমিতির হাত ধরে এবার শুশ্রুষার কেন্দ্র পেল বৃক্ষদল।
কেন এই হাসপাতাল? কীভাবেই হবে গাছের চিকিৎসা? – এই সংস্থার সদস্য সন্দীপন সরকার জানান, বৃক্ষরোপণ করার পর সঠিক পরিচর্চার অভাবে অনেক সময়ই সেগুলি মারা যায়। আবার অনেক সময় কোনও রোগের আক্রমণে একটি এলাকায় একের পর এক গাছ অকালেই মারা যাওয়ার ঘটনা দেখা যায়। তিনি বলেন, “এই রকম ঘটনা চোখে পড়ল যে কেউ আমাদের জানালে আমরা তার ব্যবস্থা নেবো। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তার সঠিক পরিচর্যা করা হবে। এছাড়া কারও বাড়ির ফুলগাছ নিয়ে সমস্যা হলেই তাঁরা আমাদের দিয়ে যেতে পারেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে গাছটি বাঁচিয়ে তুলে ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা।”
[আরও পড়ুন: ফের দাবানলের কবলে পুরুলিয়ার দুর্গম পাহাড় চূড়ার জঙ্গল, আগুন নেভাতে বাধা প্রকৃতিই]
কেবলমাত্র বৃক্ষরোপণ নয়, বৃক্ষের পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে রাখলে তবেই মিলবে পরিবেশ রক্ষার (Environment) সুফল। তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সন্দীপন। তিনি বলেন, “ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছকেও অনেক সময় সঠিক পরিচর্চার মাধ্যমে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। আমাদের দুটি হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। যে কেউ সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন।” ‘গাছ মাস্টার’ নামে পরিচিত, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক অরূপ চৌধুরি বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। পরিবেশ রক্ষা করতে খুবই ফলপ্রসূ হবে। এর আগেও চারা ব্যাংক তৈরি করা হয়েছিল। করোনার জন্য তা আপাতত স্থগিত রয়েছে। এই বৃক্ষ হাসপাতালের সঙ্গে পরিবেশবিদ, হর্টিকালচার দফতরের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন। দীর্ঘ মেয়াদী সুফল মিলবে বলেই আশা করছি।”