জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ২০১৫ সালে বনগাঁ (Bongaon) পৌরসভার ভোট নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে ক্ষমা চাইলেন বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁর সেই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা জেলার তৃণমূল (TMC) নেতা ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে জেলা বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শুরু হয়েছে তুমুল তরজা।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে (Viral Video) প্রাক্তন পৌর প্রশাসক শংকর আঢ্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে তৎকালীন যা করেছিলাম, সেটা নিয়ে অনুতপ্ত, ব্যথিত। তাই দলীয় কর্মী, সমর্থকদের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” এ প্রসঙ্গে তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতির নাম উল্লেখ না করে তাঁকেই পরোক্ষে দায়ী করেছেন। জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছায় তিনি কিছু করেননি। প্রসঙ্গত, ২০১৫-র পৌরভোটে বনগাঁয় যথেষ্ট বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি বলে অভিযোগে সরব হয়েছিল জেলার বিরোধী মহল। সেসব নিয়ে এবার তৎকালীন পৌর প্রশাসক জনতার দরবারে ক্ষমা চাইলেন।
[আরও পড়ুন: আগামী মাসেই রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল, নতুন কমিটিতে মহিলাদের প্রাধান্য]
তাঁর এভাবে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি আলোরানি সরকার বলছেন, ”ক্ষমা চাওয়া তো ভাল। তবে তিনি যেটা বলছেন সেটা ঠিক নয়।” অর্থাৎ এক্ষেত্রে যে জেলা সভাপতিকে তিনি দায়ী করেছিলেন, তা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় নেতৃত্ব। তাছাড়া আলোরানি সরকারের আরও দাবি, ”আমি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছি, তাই তখন কী হয়েছিল, সেটা সঠিকভাবে জানি না। তাছাড়া আগামী দিনে যে পৌর নির্বাচন হবে, তাতে স্বচ্ছ এবং সৎ ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরাই প্রার্থী হবেন। বনগাঁ পৌরসভা ২২-০ হবে। আর কোনও রিগিং চলবে না।”
[আরও পড়ুন: ‘বউ ফেরত চাই’, স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় যুবক]
এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নেতা দেবদাস মণ্ডল। তাঁর বক্তব্য, ”আমরা আগেই বলেছিলাম শংকর আঢ্য কী করেছিলেন, বনগাঁ সাধারণ মানুষ তা ভালভাবেই জানেন। বনগাঁর মানুষ তো দূরের কথা, স্বয়ং ভগবানও তাঁকে ক্ষমা করবেন না। তাই আগামী পৌর নির্বাচনে এর যোগ্য জবাব দেবে বনগাঁবাসী।”