সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের অন্যতম রূপকার। ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিডেটের মেধাবী কর্মী তথা কৃতি বিজ্ঞানী। সেই নিশান্ত অগরওয়ালকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে যানজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল নাগপুরের একটি আদালত।
নাগপুরের ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিডেটের প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণার অন্যতম বিজ্ঞানী নিশান্ত। সেখানে চার বছর কাজ করার সময় গুপ্তচর বৃত্তিতে জরিয়ে পড়েন। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা যায়, নেহা শর্মা এবং পূজা রঞ্জন নামে দুটি ফেসবুক প্রোফাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নিশান্ত। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, দুটিই ছিল ফেক প্রোফাইল। পিছনে ছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দারা। ইসলামাবাদ থেকে আইএসআই এজেন্টরাই ওই প্রোফাইল দুটি চালাত। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা গ্রেপ্তার করে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘রিফর্ম-পারফর্ম-ট্রান্সফর্ম’, ধ্যান শেষে উন্নত ভারতের কোন রূপরেখা আঁকলেন মোদি?]
নাগপুর দায়রা আদালতে বিচারক এম ভি দেশপাণ্ডে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করল নিশান্ত আগরওয়ালকে। ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে অপরাধীকে। পাশাপাশি ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিশান্ত এই কাজ করতে পারেন, তা তাঁর সহকর্মীরা ভাবতেই পারছেন না। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সেরা তরুণ বিজ্ঞানীর পুরস্কার জিতেছিলেন নিশান্ত। পুলিশ জানতে পারে, অনলাইনে কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন নিশান্ত। এর ফলেই তিনি আইএসআই-এর সহজ টার্গেট হন। ফলস্বরূপ ১৪ বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে।