সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার পর এবার আরও এক রাজ্যের কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরানোর পথে তৃণমূল। সূত্রের খবর, শীঘ্রই সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন আরও ১২ জন বিধায়ক। অর্থাৎ গোটা কংগ্রেস পরিষদীয় দলটাই কার্যত দল ছাড়ার পথে। অন্তত মেঘালয়ের স্থানীয় রাজনীতিতে এমনটাই জল্পনা।
মুকুল সাংমা মেঘালয়ের (Meghalaya) রাজনীতিতে বড় নাম। এই মুহূর্তে মেঘালয় কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তিনি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত উত্তর পূর্বের এই রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সাংমা। ২০১৮ নির্বাচনে মেঘালয়ে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর তিনি সেরাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে কাজ করছেন। তবে, ইদানিং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে প্রভাবশালী এই কংগ্রেস (Congress) নেতার। আসলে, সদ্যই মুকুলকে উপেক্ষা করে সাংসদ ভিনসেন্ট এইচ পালাকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়োগ করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটিই মুকুলের ক্ষোভের আসল কারণ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। শুধু সাংমা নয়, এর আগে মেঘালয়ের আরও বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে গোপনে তৃণমূল (TMC) নেতারা যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের দাবি।
[আরও পড়ুন: জঞ্জালের পাহাড় সাফ করবেন মোদি! পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে শুরু ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযান ২.০]
তৃণমূল সূত্রের খবর, দিন দশেক আগেই কলকাতায় এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন মুকুল। যদিও, সেসময় সেই সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন তিনি দল ছাড়ছেন না। কিন্তু, তারপর থেকে কংগ্রেস হাই কম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েই চলেছে। এমনকী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচিতে তিনি গরহাজির ছিলেন।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে নয়া চমক অমরিন্দরের! নতুন দল খুলতে পারেন ক্যাপ্টেন, বাড়ছে গুঞ্জন]
তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে সুস্মিতা দেবের (Susmita Dev) মেঘালয় সফর ঘিরে। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সুস্মিতার সঙ্গে কথা হয়েছে মুকুল সাংমার। সূত্রের খবর, মেঘালয়ের স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি নিজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। সম্ভবত, শুক্রবারই কংগ্রেস ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করতে পারেন মুকুল। ১৩ জন বিধায়ক একযোগে তৃণমূলে যোগ দিলে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলের তকমাও পেয়ে যাবে এরাজ্যের শাসকদলই।