সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে দলের কোন্দল সামলাতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। কোন্দলের জেরে বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। অথচ এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দল প্রার্থী করবে না বুঝতে পেরে নির্দল হিসাবে লড়াই করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আবার দলের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বুঝে নিজেকে নির্বাচনী রাজনীতি থেকেই সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক মন্ত্রী।
প্রায় প্রতিটি আসনেই একাধিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধি টিকিটের জন্য হাহাকার করছেন। পরিস্থিতি এমনই যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ছ’বারের বিধায়ক জগদীশ সেট্টারকেও (Jagadish Shettar) টিকিট দিতে অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। সে খবর জগদীশকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তে তিনি ক্ষুব্ধ। এতটাই যে নিজের পুরনো কেন্দ্র হুব্বলি থেকেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, যে কেন্দ্র থেকে ছ’বার তিনি ২১ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন, সেখানে কেন তাঁকে প্রার্থী করা হবে না?
[আরও পড়ুন: ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে হবে, কেন্দ্রকে নীতি প্রণয়নের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
গোঁসা আরও অনেকেই করেছেন। টিকিট মিলবে না বুঝতে পেরেই কর্ণাটকের বর্তমান সরকারের মন্ত্রী কেএস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa) নিজেকে ভোট রাজনীতি থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। দল যাতে কর্ণাটকে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে পরিশ্রম করতে চান। যদিও গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, দলের তরফে ঈশ্বরাপ্পাকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তিনি আর টিকিট পাবেন না। সেকারণেই অভিমানে এই সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: ‘সতর্কতামূলক গ্রেপ্তারি’ আইন ঔপনিবেশিক, রাষ্ট্রকে অসীম শক্তিশালী করতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট]
কর্ণাটকের প্রার্থী বাছাই পর্ব এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হস্তক্ষেপের পরেও সমাধান সূত্র মিলছে না। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস ইয়েদুরাপ্পা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বম্মাইয়ের মধ্যে এতটাই মতপার্থক্য যে তালিকা চূড়ান্ত করতে কালঘাম ছুটেছে মোদি- শাহ-নাড্ডাদের। এসবের মধ্যে আবার অন্য নেতারাও ক্ষুব্ধ।