সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়দানে শোকের ছায়া। একের পর এক চলে যাচ্ছেন নামী সব ফুটবলাররা।প্রশান্ত ডোরা, চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়কে হারানোর ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি। এর মধ্যেই ফের হৃদয়বিদারক খবর। প্রয়াত মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রাক্তন অধিনায়ক ভবানী রায়।দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিকত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সোমবার সকাল ৮ টা ২২ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা রাইট ব্যাক ভবানী রায়। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া ফুটবল মহলে।
মাঝমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলা শুরু করেছিলেন ভবানী রায়। কিন্তু ১৯৬৯ সালে হাফে খেলা ভবানীকে রাইট ব্যাক পজিশনে নিয়ে যান অমল দত্ত।সেই সময় সবুজ-মেরুনের দায়িত্বে ছিলেন ‘ডায়মন্ড কোচ’। তিনিই ভবানী রায়কে রাইট ব্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস।ওভারল্যাপিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথম ওভারল্যাপিং সাইড ব্যাক ছিলেন তিনি। এ দিক থেকে কলকাতার ফুটবলে পথিকৃৎ ভবানী রায়। বিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ানোর কৌশলটা প্রথম শুরু করেছিলেন তিনি। ওভারল্যাপের সময়ে উইংয়ে ডানা মেলে দিতেন তিনি। তাঁর দেখানো পথে ধরেই হেঁটেছে পরবর্তী প্রজন্ম।
[আরও পড়ুন: US Open: হাতছাড়া নাদাল-ফেডেরারকে টপকানোর সুযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে মেদভেদেভের কাছে হার জকোভিচের]
বালি প্রতিভা ক্লাব থেকে নিজের ফুটবল জীবন শুরু করেছিলেন ভবানী রায়। তার পর ইস্টার্ন রেলে যোগ দেন তিনি। বাঘা সোমের কোচিংয়ে তিনি আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠেন। এরপর ১৯৬৬-৬৭ সালে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন ভবানী। সবুজ-মেরুন জার্সিতে তিনি টানা সাত বছর খেলেন। ১৯৭২ সালে মোহনবাগানের অধিনায়ক হন তিনি।
সবুজ-মেরুন ছাড়ার পর ভ্রাতৃ সংঘ ক্লাবে খেলে অবসর নেন ভবানী রায়। জাতীয় দল এবং বাংলার হয়েও খেলেন তিনি। ১৯৬৯ সালের মারডেকা কাপে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ওই বছর মোহনবাগানের ৬ জন ফুটবলার ভারতীয় শিবিরে সুযোগ পেয়েছিলেন। বছর পাঁচেক আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর কোচ অমল দত্ত। এবার চলে গেলেন ছাত্রও।