সুপর্ণা মজুমদার: শতবর্ষে মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘পালান’ তৈরি করেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ছবি নিয়েই কথা হচ্ছিল অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের সঙ্গে। কিন্তু তার মধ্যে উঠে এল সাম্প্রতিক সিনেমা- ওয়েব সিরিজের প্রসঙ্গ। ‘গদর ২’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মতো সিনেমায় উগ্রতার বিপজ্জনক ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। এমনই মত কিছুদিন আগে প্রকাশ করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ। মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar) কী মনে করছেন? প্রশ্নের জবাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলে উঠলেন, “বিপজ্জনক তো বটেই।”
তাঁর মতে, “সেই জন্য প্রজাপতি ছবিটা আমার খুব ভালো লাগে। ওটাতে কোনও খারাপ কিছু ছিল না। মানে, যা আমরা দেখে অভ্যস্ত ইদানীং, সেরকম কিছু ছিল না। মানুষের যেন সেক্স আর ক্রাইম মানে ভায়োলেন্স দেখে দেখে আর আশ মেটে না! আমি একেবারেই এটার পক্ষে নই। আমার মনে হচ্ছে এতে খারাপই বেশি হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মিঠুন থেকে সানি, ‘জওয়ান’ শাহরুখের সংলাপ বাকি তারকারা কীভাবে বলতেন? দেখালেন মীর]
বলিউডের সিনেমার দাপটে শো পায় না বাংলা সিনেমা। এমন অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের কোনও প্রাইড নেই। আমাদের বাঙালি বলে আর কোনও প্রাইড নেই। আমরা যে একসঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে দাঁড়াব, বলব যে না, বাংলা ছবি চালাতে হবে। এত শপিংমল না করে সিনেমা হল বানাতে হবে। নন্দনের মতো সিনেমা হল আরও দরকার। যেখানে সাধারণ মানুষ সিনেমা দেখতে পারে। বা পুরনো হলগুলোকে আবার চালু করা যেতে পারে।” কেন এমন কাজ হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অভিনেত্রী।
টিভি বা OTT-র জন্য অপেক্ষা না করে সিনেমা হলে গিয়ে সকলকে ‘পালান’-এর মতো সিনেমা দেখার অনুরোধ জানান মমতা শঙ্কর। ১৯৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল মৃণাল সেনের ‘খারিজ’। তার চল্লিশ বছর পর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি করলেন ‘পালান’। আবারও মমতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে খুশি মমতা শঙ্কর। সেটে বহুবার মৃণাল সেনের কথা মনে পড়েছে তাঁর। অঞ্জন দত্ত, শ্রীলা মজুমদারের মতো পুরনো সহ-অভিনেতাদের পাশাপাশি যিশু-পাওলির সঙ্গে অভিনয় করে খুশি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।