ধীমান রায়, কাটোয়া: ঝাড়ফুঁকের নামে তরুণীকে ধর্ষণ (Rape)! মঙ্গলকোট এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কাঠগড়ায় ওঝা। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তরুণী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুঁক করার সময় অভিযুক্ত এই কুকীর্তি করে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে কীর্তিমান ওঝাকে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট (Mangolkot) থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মারু শেখ ওরফে সফিকুল শেখ ওরফে খ্যাপাবাবা।বাড়ি কেতুগ্রাম থানার মোড়গ্রামে। ওই গ্রামেরই ১৯ বছরের এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, মঙ্গলকোট এলাকার ঝিরেলা গ্রামের ধুমক্ষেত্রতলায় ওই তরুণীকে ঝাড়ফুঁক করার নাম করে ডেকে এনে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে খ্যাপাবাবা। সোমবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে এদিন আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: শবর জনজাতির প্রথম স্নাতক, নারীশিক্ষায় আঁধার ঘুচিয়ে World Tribal Day-তে আইকন রমনিতা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মারু শেখ ওঝা হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অনেকেই তার কাছে ঝাড়ফুঁক করাতে যেতেন। নির্যাতিতার বাবা জানান, কয়েকমাস ধরে তার মেয়ে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তাই তিনি ওঝার শরণাপন্ন হন। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, “আমাকে মারু শেখ বলেছিলেন, মঙ্গলকোটের ঝিরেলা গ্রামে একটি শ্মশান রয়েছে। তার কাছাকাছি একটি পীরতলায় তার গুরু থাকে। সেখানে অমাবস্যার দিন মেয়েকে নিয়ে যেতে হবে। সেই অনুযায়ী আমি মেয়েকে নিয়ে শনিবার অমাবস্যার দিন ঝিরেলা গ্রামে যাই। আমাদের সঙ্গে মারু শেখও ছিল।” তরুণী জানান, তাঁরা আসার পর ধুমক্ষেত্রতলায় তাঁর বাবাকে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর তাঁকে নিয়ে অজয় নদের ধারে চলে যায় মারু শেখ।
নির্যাতিতার কথায়, “বাবাকে মারু শেখ বলেছিল চিৎকার শুনলেও যেন তিনি নদীর ধারে না যান। তাহলে আমার ক্ষতি হবে। তারপর ওঝা আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেখিয়ে চরম ক্ষতি করে।” তরুণী আরও জানান, তাঁকে ধারালো ব্লেড দেখিয়ে রাতে পাঁচবার ধর্ষণ করে ওই ওঝা। পরদিন বাড়ি ফেরার পর প্রথমে তাঁর মায়ের কাছে পুরো ঘটনা জানান নির্যাতিতা। এরপর বাবা-মায়ের সঙ্গে রবিবার মঙ্গলকোটে এসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।