সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার লিভারপুলের (Liverpool) গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা আসলে আত্মঘাতী হামলা। ট্যাক্সির ভেতর বিস্ফোরণ ঘটায় এক পুরুষ জেহাদি। সোমবার এমনটাই জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জেহাদি বনাম জেহাদি, তালিবানকে দুর্বল করতে নয়া ষড়যন্ত্র আইএসআইয়ের]
রবিবার লন্ডনের লিভারপুলের এক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাক্সিতে বিস্ফোরণ ঘটে। জ্বলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন চালক ডেভিড পেরি। শুরু দিকে তদন্তকারীরা ভেবেছিলেন, এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের কাছে পেরি জানান, তাঁর ট্যাক্সিতে যে যাত্রী ছিল, সে শরীরে বিস্ফোরক বেঁধেই গাড়িতে উঠেছিল। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে তা টের পান তিনি। যাত্রীকে গাড়ির ভিতরে লক করে কোনও ক্রমে ট্যাক্সি থেকে লাফ মারেন পেরি। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণ হয় ওই ট্যাক্সিতে।
উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার প্রধান রুস জ্যাকসন জানিয়েছেন, ওই ট্যাক্সির ফরেন্সিক পরীক্ষা করে বিস্ফোরক থাকার প্রমাণ মিলেছে। হামলাকারীর ঝলসানো দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তি বছর বত্রিশের এমাদ আল সোয়ালমিন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার পরই ব্রিটেনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা মনে করছেন নিকট ভবিষ্যতে আরও হামলা চালানোর চেষ্টা করবে জঙ্গিরা। কেন এই হামলা, তা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি লিভারপুল পুলিশ। তবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জেরা করে হামলার কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপে ছড়াচ্ছে জেহাদের শিকড়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে কার্যত মহাবিপদে পড়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও সুইডেনের মতো শান্ত দেশগুলি। কারণ শরণার্থীদের বেশে ঢুকে পড়েছে বহু জঙ্গি বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি। উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে ২০২০ সালে ভিয়েনায় হওয়া জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক মুসলিম জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (Islamic State)।