অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: দিল্লি (Delhi) থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো সিবিআইকে (Fake CBI) ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবারই হাওড়ায় আনা হয়েছিল ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই ভুয়ো পরিচয়ে ঘুরে বেড়াত ধৃত শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে ছিল সিবিআই (CBI) অফিসারের ভুয়ো পরিচয়, নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা, প্রতারণা, বধূ নির্যাতন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। অবস্থা বেগতিক বুঝে দিল্লি চম্পট দেয় শুভদীপ। বিলাসবহুল হোটেলে আত্মগোপন করেছিল সে। পরিকল্পনা ছিল ভারত থেকে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় অভিযুক্ত। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। তোলা হয় আদালতে।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে টি-শার্ট কিনে প্রতারিত সোনারপুরের যুবক, খোয়ালেন লক্ষাধিক টাকা]
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে ভুয়ো সিবিআই পরিচয়ে ঘুরত ধৃত। ফেসবুকের মাধ্যমেই এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তার পরবর্তীতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২০২০ তে বিয়ে করেন তারা। যদিও তাদের দাম্পত্যজীবন মোটেও সুখের ছিল না বলেই দাবি স্থানীয়দের। অশান্তি লেগেই থাকত। গাড়িচালকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রী, এমনই সন্দেহ করত শুভদীপ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শুভদীপের স্ত্রীও সিবিআই আধিকারিক বলেই জানতেন তারা। উল্লেখ্য, মা-বাবার সহযোগিতাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ছেলের এহেন কাজকর্মে লজ্জিত মা-বাবা জানিয়েছিলেন, ছেলেকে যেন গ্রেপ্তার করা হয় অথবা সে আত্মসম্পর্পণ করুক। এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফে শুভদীপের ফোন নং জোগাড় করে ফোন করা হয়। আর সেই ফাঁদেই পা দিয়ে ফেলে শুভদীপ। প্রতিটি ফোন রিসিভ করে জানায়, বিশেষ কাজে সে দিল্লিতে রয়েছেন। এরপর দিল্লি পুলিশের সহায়তায় সেখানে গিয়ে এক পাঁচতারা হোটেল থেকে ভুয়ো সিবিআই অফিসারকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে হাওড়া পুলিশের বিশেষ দল।