সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ঝাঁসিতে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে রাজনীতিক-গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) ছেলে আসাদ আহমেদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলামের। এই ঘটনায় যোগী এবং তাঁর দল বিজেপিকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর অভিযোগ, সাজানো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে আসাদকে। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গত কয়েক বছর ধরে এমন কাণ্ডই চলছে। অখিলেশের মন্তব্য, “বিজেপি আদালতে বিশ্বাস করে না।”
কয়েক দিন আগেই আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার এনকাউন্টারে মৃত্যু হল তাঁর ছেলে আসাদ আহমেদের। ২০০৫ সালে বিএসপি (BSP) নেতা রাজু পাল হত্যায় সাক্ষী ছিলেন আইনজীবী উমেশ পাল। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি খুন হন। উমেশকে অপহরণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আতিক। উমেশের হত্যা মামলায় ‘ওয়ান্টেড’ ছিলেন আসাদ ও গুলাম। এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল যোগীরাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। আতিকের ভয় ছিল তাঁকে এনকাউন্টারের মুখে পড়তে হবে। শেষ পর্যন্ত তিনি নন, এনকাউন্টারে প্রাণ হারালেন তাঁর ছেলে।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে উপত্যকার আকাশে পাক ড্রোনের হানা! গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা]
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই টুইট করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ। তিনি লেখেন, “ভুয়ো এনকাউন্টার করে বিজেপি সরকার প্রকৃত সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে। বিজেপির লোকেরা আদালতে বিশ্বাস করে না। আজকের এবং সাম্প্রতিক এনকাউন্টারগুলির নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। দোষীরা যেন রেহাই না পায়। ঠিক-ভুলের বিচার ক্ষমতাসীনরা করতে পারেন না। বিজেপি সৌভ্রাতৃত্বের বিরোধী।”
[আরও পড়ুন: মুঘল যুগ ও গান্ধীর পর এবার পাঠ্যপুস্তক থেকে মোছা হল আবুল কালাম আজাদের নাম!]
সমাজবাদী পার্টি প্রধান যখন ভুয়ো এনকাউন্টার প্রশ্ন তুলেছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। যদিও বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বলেন, “বিজেপির এক মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে ‘ঠোক দো’ (গুলি করে মারো) বলে বেআইনি হত্যায় মদত দিচ্ছেন।” উল্লেখ্য, আগেই রাজু পাল হত্যার সাক্ষী উমেশ পালকে খুনে ২ অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। তার আগে বিকাশ দুবে-সহ একাধিক অপরাধীর এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। যদিও যোগীরাজ্যের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।