সুব্রত বিশ্বাস: কালো কোট পরে রেলের টিকিট পরীক্ষক সেজে দিব্যি চলছিল টাকা আদায়। স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই শুরু হত ধরপাকড়। দিনের শেষে আয় হত ভালোই। কিন্তু বেশিদিন এই কারবার চালাতে পারলেন না বাঁকুড়ার শশীকান্ত মণ্ডল ও বীরভূমের সৌরভ দাস। আসল টিটিদের হাতেই ধরা পড়ে গেলেন দুজনে। তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ।
জানা গিয়েছে, নৈহাটি এলাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই দুই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক। কয়েকটি স্টেশনে রোজই বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতেন। টাকা আদায় করে ছেড়ে দিতেন। এটাই ছিল তাঁদের রোজগারের উপায়। রোজকারের মতো সোমবারেও নৈহাটি স্টেশনে বালিয়া এক্সপ্রেস ঢুকতেই দুজনেই ধরপাকড় শুরু করে দিয়েছিলেন। ওই সময় স্টেশনে আসল টিকিট পরীক্ষকরাও চেকিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। শশীকান্ত ও সৌরভের চেকিংয়ের বহর দেখে সন্দেহ হয় অনেকেরই। আসল টিটিরা খবর পেয়ে দুজনকে ধরে তাঁদের পরিচয় পত্র দেখতে চান। আইকার্ডও দেখায় দুজনে। কার্ডে পদের জায়গায় উল্লেখ রয়েছে, ‘টিসি’। সেখানেই সন্দেহ শুরু হয়, আসল টিকিট পরীক্ষকদের। কারণ, ২০১২ সালের পর থেকে এই পদকে ‘টিসি’ বলে না। এর পরেই তাঁদের ধরে আনা হয় আরপিএফ অফিসে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যেতে চেয়েছিলেন উদয়ন! দিনহাটার সভা থেকে বিস্ফোরক শুভেন্দু]
দেখা যায়, আইকার্ড থেকে কালো কোট, ইএফটি বিল সবই থাকলেও তা ছিল নকল। এর পরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। এনিয়ে টিকিট পরীক্ষকরা জানিয়েছেন, বহু স্টেশনে এরকম বহু ভুয়ো টিকিট পরীক্ষক রয়েছে, যারা বিভিন্ন স্টেশনে টিকিট পরীক্ষার নামে টাকা তোলে। রেলকর্মীদের অনেকেই তা জানেন। এমনকী তোলা টাকার ভাগও যায় বিভিন্ন কর্মীদের কাছে। এতে তাঁদের সুবিধা হয় যে নিজেদের বদনাম হয় না। অন্যদিকে, তাঁরাও আয়ের ভাগ পান। ফলে এই অপরাধ বাড়াবাড়ি পর্যায়েও চলে অনেক জায়াগায়। এজন্য নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেন টিকিট পরীক্ষকরা।