সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসে লাগাম টানতে এবার কড়া নীতি কেন্দ্রীয় সরকারের। এবার থেকে জঙ্গি পরিবারের কোনও সদস্য পাবে না সরকারি চাকরি। একই নিয়ম লাগু হবে কেউ যদি পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত থাকে, তার উপরও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, উপত্যকায় শুধুমাত্র জঙ্গিদের শেষ করাই নয়, মোদি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার সন্ত্রাসের পরিবেশ বদলে ফেলারও।
সম্প্রতি পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, "আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাশ্মীরে (Kashmir) যদি কেউ কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে সেক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যক্তি যদি পাথর ছোড়ার ঘটনায় যুক্ত হয়, তার পরিবারের সদস্যরাও পাবে না সরকারি চাকরি (Government Job)। কিছু মানবাধিকার সংগঠন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার জয়ী হয়েছে।" যদিও একইসঙ্গে অমিত শাহ জানান, "যদি কেউ আগে সরকারি চাকরি পেয়ে থাকেন এবং তার পর তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন, সেক্ষেত্রে ওই আধিকারিককে ছাড় দেওয়া হবে।"
[আরও পড়ুন: ‘৪ বছর ধরে ঘুমোচ্ছিলেন?’ রাজকোট অগ্নিকাণ্ডে পুরসভাকে ভর্ৎসনা গুজরাট হাই কোর্টের]
উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরকারের নীতি স্পষ্ট করে শাহ বলেন, "আগে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও জঙ্গির মৃত্যু হলে বিশাল জৌলুসের সঙ্গে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হত। কিন্তু আমরা আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমস্ত ধর্মীয় নিয়ম মেনে ওই জঙ্গির দেহ সৎকার হবে ঠিকই, তবে তা অন্য কোনও জায়গায়।" একইসঙ্গে সরকার যে জঙ্গিদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে আগ্রহী সে বার্তা দিয়ে শাহ জানান, "যখন কোনও জঙ্গিকে নিরাপত্তাবাহিনী ঘিরে ফেলে, তখন তাঁকে প্রথমে আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়া হয়। তাঁর মা, স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছের সদস্যকে সেখানে আনি। তাঁদের মাধ্যমে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের আবেদন করা হয়। যদি সে আত্মসমর্পণে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হয়।"
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে হাইওয়েতে মিম নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের, শোরগোল মহারাষ্ট্রে]
শুধু তাই নয়, এনআইএ-এর কড়া পদক্ষেপের জেরে উপত্যকায় টেরর ফান্ডিং পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন শাহ। পাশাপাশি তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া নীতির জেরে উপত্যকায় সন্ত্রাসের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক কমেছে। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালে যেখানে ২২৮ টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল জম্মু ও কাশ্মীরে, ২০২৪ সালে তা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে।