সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমানা নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। এমনকী সেই ঝামেলা গড়িয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধেও। ইতিহাসের পাতা ওলটালে মিলবে এমন অনেক উদাহরণ। শুধু ইতিহাস কেন, বর্তমানেও সীমানা নিয়ে বহু দেশের মধ্যেই সম্পর্ক তিক্ত। কিন্তু জানেন কী, ফ্রান্সের (France) মতো শক্তিধর দেশের সীমানা একাই কমিয়ে দিলেন পড়শি দেশ বেলজিয়ামের (Belgium) বাসিন্দা এক ব্যক্তি! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আজব এই ঘটনাটি যিনি ঘটিয়েছেন তিনি আসলে পেশায় এক চাষী। আসলে ইউরোপের কিছু কিছু দেশের মধ্যে তেমনভাবে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কিছু কিছু জায়গায় সীমানা বোঝাতে কেবলমাত্র পাথরের ফলক ব্যবহার করা রয়েছে। আর ওই চাষী ভুল করে ফ্রান্স-বেলজিয়ামের সেরকমই একটি পাথর তুলে কিছুটা এগিয়ে পুঁতে দেন। আর এর ফলে ২.২৯ মিটার বা সাড়ে সাত ফুট কমে যায় ফ্রান্সের সীমানা। বেড়ে যায় বেলজিয়ামের এলাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য স্থানীয় এক ইতিহাসবিদ ভুলটি ধরে ফেলেন। তারপরই সামনে আসে বিষয়টি।
[আরও পড়ুন: এবার পঞ্চাশোর্ধ্বদের জন্য নয়া পরিকল্পনা ব্রিটেনে, দেওয়া হবে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ]
আসলে, ফ্রান্স এবং বর্তমানে বেলজিয়ামের সীমানা ৬২০ কিলোমিটার (৩৯০ মাইল) দীর্ঘ। ওয়াটারলু যুদ্ধে নেপোলিয়নের পরাজয়ের পরে ১৮২০ সালে স্বাক্ষরিত কর্টরিজকের চুক্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সীমান্তটি। পাথরটির গায়ের খোদাই অনুযায়ী এটি ১৮১৯ সালে স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই চাষী বিষয়টি জানতেন না। ফলে জমি চাষের সময় ট্রাক্টরের সামনে পাথরটি চলে আসায় বিরক্ত হয়ে পড়েন। শেষে পাথরের ফলকটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে তুলে ফ্রান্সের সীমানা থেকে কিছুটা এগিয়ে পুঁতে দিয়েছিলেন। কেউই বিষয়টি জানতেও পারেননি। শেষে একজন ইতিহাসবিদ বনের রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় লক্ষ্য করেন সীমানা চিহ্নিত করার পাথরটি সরে গিয়েছে। তিনিই সেটি প্রশাসনের নজরেও আনেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে অবশ্য আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও হইচই হয়নি। বরং বেলজিয়ামের এরকুইলিনস গ্রামের মেয়র ডেভিড ল্যাভক্স থেকে শুরু করে ফ্রান্সেরও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খবরটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।