সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সি ফুড ফেস্টিভ্যাল৷ ফ্রান্সের তালমঁ সেন্ট হিলেরার এক বিখ্যাত উৎসব৷ বরাবরের মতো এবছরও বসেছে খাওয়াদাওয়ার আসর৷ এর জন্য দীর্ঘদিন আগে থেকেই প্রস্তুত নেওয়া হয়৷ এবার সেখানেই ঘটে গেল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা৷ বৃহত্তম এক ঝিনুক ধরে ফেলেও খাবার আগে তাকে সমুদ্রে ছেড়ে দিলেন মৎসজীবীরা৷
[ আরও পড়ুন: OMG! সাপের ডিমেই অমলেট বানালেন গৃহবধূ, তারপর…]
প্রায় দেড় কিলোগ্রাম ওজনের একটি মস্ত বড় ঝিনুক৷ ফ্রান্সের তালমঁ সেন্ট হিলেরার উপকূল থেকে পাওয়া ঝিনুকটির নাম রাখা হয়েছিল – জর্জেট৷ এই প্রাপ্তি নিয়ে ঝিনুক কারখানার এক কর্মী ম্যাথু নাসলিন বলছেন, ‘আমি খাঁড়িতে নেমে ঝিনুক খুঁজছিলাম৷ হঠাৎ আমার পায়ে কী একটা ঠেকল৷ হাতে তুলে নিয়ে দেখি, কী বড় একটা ঝিনুক!’ বিস্ময় যেন কিছুতেই কাটছে না তার৷ বলছেন, এটা খুবই ব্যতিক্রমী একটা ব্যাপার৷ এর আগে তিনি এত বড় ঝিনুক দেখেননি৷ আট বছরের কর্মজীবনে এটাই প্রথম৷
নাসলিন আরও জানাচ্ছেন, ‘এমন নয় যে এত বড় ঝিনুক নেই৷ তবে তারা সাগরের গভীরে থাকে৷ এই খাঁড়ির দিকে পাওয়া যায় না৷ তাই এত অবাক হয়েছি৷’ এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে৷ খাঁড়ির দিক সংকীর্ণ হওয়ায় সমুদ্রের জলের লবণাক্ত ভাব কমে আসে, যা ঝিনুকগুলোর বৃদ্ধির পক্ষে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই বড় আকারের ঝিনুক সাধারণত পাওয়া যায় না৷ সেখানে দাঁড়িয়ে জর্জেট প্রাপ্তি সমুদ্রবিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার বড় সুযোগ এনে দিয়েছে৷
দেড় কেজি ওজনের ঝিনুকটিকে নিয়ে গত কয়েকমাসে নাড়াচাড়া করেছেন তাঁরা৷ এমনিতে ১৩ থেকে ১৫ বছরের ঝিনুককে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো হয়৷ সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়৷ তবে জর্জেটকে দেখে এই কারখানার কর্তৃপক্ষ ভালবেসে ফেলে৷ তাই এত দর ওঠা সত্ত্বেও তাকে বিক্রি করতে নারাজ তাঁরা৷
[ আরও পড়ুন: মুখে অক্টোপাস নিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা, কামড় খেয়ে হাসপাতালে মার্কিন মহিলা]
নাসলিন বলছেন, ‘অনেকেই আছেন, যাঁরা বড় বড় ঝিনুক কিনে রেখে দেন, তাদের আরও বাড়তে দেন৷ এটা তাঁদের কাছে ট্রফির মতো৷’ জর্জেটকে তাই তালমঁ সেন্ট হিলেরার বড় ঝিনুক কারখানা কর্তৃপক্ষও ট্রফি হিসেবেই দেখছে৷ এবং রেখে দিতে চাইছে৷ সাধারণত এধরনের ঝিনুকের দাম ২০০০ ইউরোর কম তো হয়ই না, বেশিই হয়৷ তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছেন, ৩০হাজার ইউরো দিলেও, জর্জেটকে বিক্রি করা হবে না৷
The post খাঁড়িতে মিলল পেল্লাই ঝিনুক, দুর্লভ সামগ্রী বিক্রি না করে রেখে দিলেন ব্যবসায়ীরা appeared first on Sangbad Pratidin.