সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ক্যালেন্ডারের পাতায় গুনে গুনে ৩৭৮ দিন। নিজেদের সমস্ত দাবি আদায় করে তবেই আন্দোলনে ইতি টানলেন কৃষকরা। তবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এখনও আলোচনার পথ খোলা রাখছেন তাঁরা। সব নিয়ে নতুন বছর ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কৃষকরা। তবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) তরফে এই হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে, নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে যদি সরে আসে কেন্দ্র, তাহলে ফের আন্দোলন মাথাচাড়া দেবে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন (Farmers’ Protest) প্রত্যাহার নিয়ে ঘোষণার পাশাপাশি সিংঘু সীমানা থেকে অনশনকারীদের তাঁবুও সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এই চিত্রই স্পষ্ট করে দেয়, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনে দাঁড়ি পড়ছে।
[আরও পড়ুন: বেতন থেকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করোনা তহবিলে দান করতেন রাওয়াত]
ধাপে ধাপে আন্দোলন শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লু-প্রিন্ট ছকে ফেলেছেন কৃষকরা। সূত্রের খবর, আগামী ১১ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষক আন্দোলনে ইতি পড়বে। বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে সেনার চপার দুর্ঘটনায় আকস্মিকভাবে মৃত্যু হয়েছে দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS) বিপিন রাওয়াতের। ১০ তারিখ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আর তার ঠিক পরেরদিনই নিজেদের আন্দোলন শেষ করে বাড়ি ফিরবেন কৃষকরা। প্রাথমিক পরিকল্পনা এমনই। তবে আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা পরবর্তী পরিকল্পনাও ঠিক করে ফেলেছে। তা অনেকটা এরকম –
- ১১ ডিসেম্বর: সকাল ৯ টার পর সিংঘু বর্ডার থেকে আন্দোলন তুলে বাড়ির পথে রওনা হবেন কৃষকরা।
- ১৩ ডিসেম্বর: অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে যাবেন।
- ১৫ ডিসেম্বর: পাঞ্জাবে যে সব ছোট-বড় বিক্ষোভ চলছে, সেসবই তুলে নেওয়া হবে।
এরপর আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি ফের নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসবেন কিষাণ মোর্চার প্রতিনিধিরা। তার খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। অশোক ধাওয়ালে জানিয়েছেন, ”আলোচনা খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল রয়েছে এর নেতৃত্বে। আগামী ১৫ জানুয়ারি আবার আমরা নিজেরা বৈঠক করব।” এছাড়াও প্রতি মাসে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।