স্টাফ রিপোর্টার: কৃষি যন্ত্র কেনায় বিপুল আর্থিক সহযোগিতার কথা ঘোষণা করল নবান্ন (Nabanna)। হস্তচালিত ছোট যন্ত্র থেকে বিদ্যুৎচালিত মেশিন, কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র থেকে কৃষি যন্ত্রাদি ব্যাংক, সবেতেই মিলবে ছাড়। উপকৃত হবেন কৃষক থেকে শুরু করে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। শুক্রবার এই ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় নবান্ন থেকে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পর্বে ২৫ হাজার যন্ত্রপাতি বণ্টন (Machines) করা হবে। যাতে ৫০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সহযোগিতা ভরতুকির (Subsidy)আকারে দেবে কৃষি দপ্তর। এদিন থেকেই অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে।
২০১২-১৩ অর্থবর্ষে কৃষির উন্নয়নে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এখনও পর্যন্ত ৪.৯০ লক্ষ মেশিন কেনার জন্য ৮৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এবার দেওয়া হবে ১১০ কোটি অর্থ। তাতে ২৫ হাজার মেশিন কেনা হবে। জানা গিয়েছে, হস্তচালিত মেশিন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভরতুকি দেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ চালিত মেশিন কেনার জন্য ৩ লক্ষ টাকা এবং কাস্টম হায়ারিং সেন্টার স্থাপনের জন্য ১০ লক্ষ পর্যন্ত অর্থসাহায্য দেওয়া হবে। কাস্টম হায়ারিং সেন্টার বা কৃষি যন্ত্রাদি ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে দেওয়া হবে সুদ বাবদ ছাড়।
[আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পোশাক খুলতে ‘চাপ’, কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে ‘ব়্যাগিং’য়ে অভিযুক্ত ৫ ছাত্র]
উল্লেখ্য, কৃষির (Agriculture) উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা থেকে বাঁচাতে কৃষকবন্ধুর মতো প্রকল্প এনে ভাতা দেওয়া হচ্ছে চাষিদের। দেওয়া হচ্ছে মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ। অন্যদিকে, কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গড়ে যন্ত্রনির্ভর কৃষিকাজে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই সেন্টারগুলো থেকে সুলভে ফসল কাটার যন্ত্র ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আমফান, যশের মতো ঘূর্ণিঝড়ের আগে দ্রুত ফসল কাটায় বড় ভূমিকা নিয়েছিল এই সেন্টারগুলি।