shono
Advertisement

Breaking News

কালোবাজারি বন্ধের উদ্যোগ, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া করা যাবে না পাটের ব্যবসা

এতদিন এই ব্যবসায় কোনও রেজিস্ট্রেশন লাগত না।
Posted: 12:24 PM Oct 21, 2021Updated: 04:56 PM Oct 21, 2021

স্টাফ রিপোর্টার: পাট নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ করতে রেজিস্ট্রেশন (Registration) বাধ্যতামূলক করেছে জুট কমিশন অফ ইন্ডিয়া। এ বছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাট ব্যবসায়ীদের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। পাটশিল্পের সঙ্গে বহু মানুষ জড়িত। এতদিন এই ব্যবসায় কোনও রেজিস্ট্রেশন লাগত না। যে কেউ চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে বিক্রি করতে পারতেন। ফলে এই শিল্পে ফড়েদের দাপট দিনে দিনে বেড়ে চলছে। ফড়েরা চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনে নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এতে জুট মিল মালিক এবং জুট বেলার্সরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাঁচামালের জোগান না থাকায় অনেক জুটমিল বন্ধের পথে। ফড়েদের দাপট রুখতে রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে জেসিআই।

Advertisement

জেসিআই সূত্রে খবর, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আর পাট (Jute) ব্যবসা করা যাবে না। রেজিস্ট্রেশন থাকলে তবেই ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে পাট কিনতে এবং বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পাট ব্যবসায়ীদের রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। ৩১ অক্টোবরের পর থেকে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ যদি পাট মজুত রাখেন তাহলে সেই পাট বাজেয়াপ্ত করবে জুট কর্পোরেশন।

[আরও পড়ুন: পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে বিপত্তি, দুর্যোগে ঘরবন্দি পায়েল-দ্বৈপায়ন]

এদিকে, বাজারে পাটের জোগান না থাকায় মিলগুলোতে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। রাজ্যে প্রায় ৫০টি বড় জুটমিল রয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট জুটমিলও রয়েছে। বেলার্সরা মিলগুলোতে কাঁচা পাট সরবরাহ করে থাকেন। জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ওম সোনি বলেন, “এবছর পাটের চাষ ভাল হয়েছে। জুট কর্পোরেশন এক কুইন্টাল পাটের দাম ৬৫০০ টাকা নির্ধারিত করে দিয়েছে। অথচ বাজারে ৬৮০০ টাকা দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। তবু কাঁচা পাট পাওয়া যাচ্ছে না। চাষিদের কাছ থেকে ফড়েরা পাট কিনে নিজেদের কাছে রেখে দিচ্ছেন। কৃত্রিমভাবে বাজারে পাটের সংকট তৈরি করে মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাটের জোগান না থাকায় উৎপাদন কমানোর পথে যাচ্ছেন মিল মালিকরা।

হুগলি জুট মিলের কর্ণধার ও ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তা বলেন, হুগলি জুটমিলের পাঁচটি ইউনিট রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মিলে কাঁচামালের জোগান স্বাভাবিক নেই। ফলে মিলের কাজ চালানো যাচ্ছে না। তিনি জানান, জোগান না থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমানো ছাড়া মালিকদের কাছে আর কোন পথ নেই। তা না হলে মিল বন্ধ করে দিতে হবে। 

[আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর দিনই খাস কলকাতায় মায়ের হাতে খুন সদ্যোজাত কন্যাসন্তান!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement