সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতাসে শিরশিরানি। শীত যেন পড়ল বলে। আবার তার মানেই সামনে বিয়ের মরশুম। বিয়েবাড়িতে কী পরে যাবেন আর কীভাবে ভিড়ের মাঝে আলাদা হয়ে উঠবেন, তা নিয়ে সকলের মাথাব্যথার যেন অন্ত নেই। কিন্তু জানেন কি, সকলের মাঝে আলাদা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে পোশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পোশাক বাছাইয়ে সামান্য ভুল হয়ে গেলেই বিপদের শেষ নেই। সাজগোজ একেবারে মাটি। তাই পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই কথাগুলি মনে না রাখলেই নয়।
যাঁরা বিয়েবাড়িতে শাড়ি পরতে চান না, একসময় আনারকলিই ছিল তাঁদের প্রথম পছন্দ। আপনিও কি ভাবছেন, বিয়েবাড়িতে তেমন কিছু পরবেন? ভুলেও না। এই পোশাক পরবেন না। কারণ, ফ্যাশনের বদল হয়েছে। এখন আনারকলি একেবারেই আউটডেটেড।
বেশি জমকালো, ভারী গাউন ভুলেও পরবেন না। তাতে অস্বস্তি হতে পারে। পরিবর্তনে হালকা কোনও পোশাক পরুন।
একসময় এবড়ো খেবড়ো ঝুলের পোশাক মহিলাদের ফ্যাশনে ইন ছিল। তবে এখনও সেই ডিজাইন বেশ পুরনো। তাই ভুলেও বিয়েবাড়ির মরশুমে এই ধরনের পোশাক বাছবেন না।
কুর্তার সঙ্গে ধোতি প্যান্ট একসময় মহিলারা বেশ আপন করে নিয়েছিলেন। বর্তমানে তা আর চলে না। জায়গা দখল করে পালাজো কিংবা ড্রেপড স্কার্ট। তাই ইন্দো ফিউশন সাজ চাইলে পালাজো কিংবা ড্রেপড স্কার্ট বেছে নিন। ধোতি প্যান্টে মোটেও না।
বিয়েবাড়িতে পরার জন্য প্লিটেড সালোয়ার বাছবেন না। তাতে আপনাকে মোটা লাগতে পারে। পরিবর্তে সালোয়ারের সঙ্গে স্ট্রেট কিংবা সিগারেট কাট প্যান্ট পরুন।
শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশি চড়া রঙের শাড়ি বাছবেন না। পরিবর্তে হালকা রঙের শাড়ি পরুন।
পুরুষরাও বিয়েবাড়িতে পোশাক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও সাবধানী হোন। ভারী কাজ করা শেরওয়ানি পরবেন না। পরিবর্তে হালকা রঙের পাঞ্জাবি বাছতে পারেন।
একসময় জরির কাজ করার ভেলভেটের কাজ করা শেরওয়ানির চল ছিল। এখন তা আউটডেটেড। ভুলেও এই ধরনের পোশাক পরবেন না।
এবার শীতে বিয়েবাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে আর দেরি করবেন না। কেনাকাটি করতে বেরিয়ে পড়ুন আজই।
