সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণসংগীত প্রণেতা হিসেবে সোনার অক্ষরে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। তিনি আধুনিক বাংলা গানের সুরস্রষ্টা। কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরু সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স ১৩ নভেম্বর এক স্মারক স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ করল। সহযোগিতায় আনন্দপুর সলিল চৌধুরী জন্মশতবার্ষিকী সোসাইটি। কিংবদন্তি সঙ্গীতগুরুর প্রতি শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্সের এ এক দীপ্তিময় শ্রদ্ধার্ঘ্য।
সলিল চৌধুরী এমন এক নাম যা সোনার মতোই অমূল্য। আর তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে 'স্বর্ণাঞ্জলি' স্বর্ণমুদ্রা উদ্বোধনের মাধ্যমেই তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করল প্রসিদ্ধ স্বর্ণপ্রতিষ্ঠান শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স।
এ দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় এক অডিও-ভিজুয়াল প্রদর্শনের মাধ্যমে। সলিল চৌধুরীর সমসাময়িক শিল্পীরা যাঁরা তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশেছেন, কাজ করেছেন তাঁরা সকলে স্মৃতিকথা ভাগ করে নেন দর্শকদের সঙ্গে। গুলজার থেকে শ্রীজাত শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এই মহান শিল্পীর প্রতিভা ও অবদানকে। উপস্থিত ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, কল্যাণ সেন বরাট প্রমুখ খ্যাতনামা শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে সলিল চৌধুরীর দুই কন্যা অন্তরা চৌধুরী ও সঞ্চারী চৌধুরী পিতার সঙ্গীত ভাবনা ও জীবন দর্শনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। শিল্পীকে যথাযথ শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্যাম সুন্দর জুয়েলার্স এই অবকাশে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করলেন ‘সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি’ স্বর্ণমুদ্রা। উপস্থিত ছিলেন শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা ও রূপক সাহা।
সলিল কন্যা অন্তরা চৌধুরী বলেন, "আমার বাবার জন্মশতবর্ষে সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এই বিশেষ উদ্যোগে আমাদের পাশে থাকার জন্য ও আমাদের স্মারক প্রকল্পগুলোকে সার্বিকভাবে সমর্থন করার জন্য আমি শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্সকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর ডিরেক্টর রূপক সাহা বলেন, “আমরা সবসময়ই ভারতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যজগতের মহারথীদের সম্মান জানাতে গর্ব অনুভব করি। আমাদের ‘সর্বোত্তম সম্মান’-এর প্রাপকরা হলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ, ড. এল সুব্রহ্মণিয়ম, বিশ্বমোহন ভাট, পারভিন সুলতানা, উস্তাদ আমজাদ আলি খান ও উস্তাদ জাকির হুসেনের মতো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শিল্পীরা।” তিনি আরও যোগ করেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রথম স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশ করেছিলাম আমরাই— ২০০৮ সালে।”
অপর ডিরেক্টর অর্পিতা সাহা বলেন, “সলিল চৌধুরীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এক দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতিফলন—যা শুরু হয়েছিল সলিল চৌধুরী মেমোরিয়াল অনার্স-এর মাধ্যমে, যার প্রথম প্রাপক ছিলেন ড. কে. জে. যেশুদাস, ২০১৬ সালে। সলিল চৌধুরীর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ভাবলাম, এই স্বর্ণমুদ্রা প্রকাশই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত শ্রদ্ধার্ঘ্য— কারণ তাঁর নামটি সত্যিই সোনার মতো মূল্যবান।”
অনুষ্ঠানের শেষে ঘোষণা করা হয়, ‘সলিল চৌধুরী স্বর্ণাঞ্জলি’ স্বর্ণমুদ্রা-এর সীমিত সংস্করণ খুব শিগগিরই বিক্রয়ের জন্য উপলব্ধ হবে। পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী সোনায় ঢাকা রুপোর মুদ্রাও পাওয়া যাবে, যতদিন স্টক থাকবে।
