অর্ণব দাস, বারাসত: বাড়িতে আগুন (Fire) লেগে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের। গুরুতর জখম অবস্থায় মা-কে ভরতি করা হল হাসপাতালে। মঙ্গলবার ভোরে বিরাটির (Birati) মহাজাতি নগরের ঘটনা ঘিরে শোরগোল এলাকায়। বাড়ির একটা বড় অংশই পুড়ে গিয়েছে বলে খবর। কীভাবে বাড়িতে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন দমকলকর্মীরা। দু’টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নেভানোর হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে ঘড়ির কাঁটা চারটে পেরিয়েছে। শীত শীত আবহে ভোরের বেলা ঘুমে আচ্ছন্ন সকলে। আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের। দেখা যায়, বিরাটি এক নম্বর মহাজাতি নগরের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। দমকলকে খবর পাঠালেও তাঁরা নিজেরা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে দমকলে দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশে তৈরি ম্যানগ্রোভে ‘কোপ’, বৃক্ষপুজো করতে আজ হিঙ্গলগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী]
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন ভোররাতে বিকট শব্দ শুনতে পান তাঁরা তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখেন পাশের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আগুন জ্বলছে। তারা ওই বাড়ির বাসিন্দাদের ডাকলে কোনও সাড়াশব্দ পাননি। তারপরই দমকলে খবর পাঠানো এবং আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। পরে দমকলের দুুটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানো হয়। আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে দেখা যায়, দুই পুরুষের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মৃতের একজন বিদ্যুৎ বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী। অপরজন তাঁর বাবা – বিজয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়বাবুর বয়স ৯২ বছর, আর ছেলে বিদ্যুতের বয়স ৫৮ বছর। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার হন বছর সত্তরের শেফালি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিদ্যুতের মা। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগুন-ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবা-ছেলের।
[আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় স্বীকৃতি, কৃষিনির্ভর অর্থনীতি নিয়ে গবেষণার পরীক্ষায় সেরা বঙ্গকন্যা আদৃতা]
কীভাবে বাড়িটিতে আগুন লাগল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, কম্পিউটারের ঘর থেকে শর্ট সার্কিটের কারণেই এই অগ্নিকাণ্ড। আর ঘর থেকে সময়মতো বেরিয়ে পড়তে না পারায় বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।