সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সন্তানের মৃত্যুর প্রায় মাসদুয়েকের মাথায় প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন সন্তানহারা বাবা-মা। ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মথুরাপুর (Mathurapur) থানার নিশ্চিন্দাপুর গ্রামে। তবে ছেলের মৃত্যুর এতদিন পর কেন হঠাৎ পুলিশের কাছে শোকগ্রস্ত বাবা-মায়ের এই অভিযোগ দায়ের, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। যদিও অভিযোগ পেয়েই মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
গত ৭ জুলাই প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মঘাতী হয় মথুরাপুরের নিশ্চিন্দাপুরের বাসিন্দা সায়ন হালদার। তার সঙ্গে দীর্ঘ ছ’বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই এলাকারই স্কুলছাত্রী সহেলি ভট্টাচার্যের। প্রেমে ব্যর্থ হয়েই নিজের বাড়ির বারান্দায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে যুবকটি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চালায় পুলিশ। দেড় মাস কেটে গেলেও মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগই জানানো হয়নি। হঠাৎই মৃতের বাবা শ্যামল হালদার পুলিশের কাছে ছেলের প্রেমিকা ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সায়নকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়াদের স্বার্থ না দেখে রাজনীতি করছেন’, NEET-JEE ইস্যুতে মমতাকে তোপ কৈলাসের]
অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এক যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে যুবকের প্রেমিকা ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু ঘটনার এতদিন পর কেন এমন অভিযোগ জানতে চাইলে মৃতের বাবা শ্যামলবাবু বলেন, "একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে স্বামী-স্ত্রী পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। তাই তখন ওসব মাথায় ছিল না। কিন্তু ছেলের সঙ্গে সহেলি ও তার পরিবার দিনের পর দিন যেভাবে খারাপ ব্যবহার করে যাচ্ছিল সেই দিনগুলোর কথা এখন মনে পড়ছে। তাঁর ছেলেকে ওই মেয়েটি ও তার পরিবার বারবারই মরে যাওয়ার কথাও বলেছে। সেই অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছে ছেলে। এখন সেসব মাঝেমাঝেই মনে পড়ে যাচ্ছে।" ছেলের আত্মার শান্তি দিতেই মেয়েটি ও তার বাবা-মায়ের শাস্তি চান বলেও জানান তিনি।