তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: এক গাছ থেকে অন্য গাছ। সব শেষে স্থানীয়দের হইচইয়ে একটি গাছের মগডালে গিয়ে উঠল চিতাবাঘ। রবিবার সকালে এমন ঘটনা দেখে শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির মেচী নদী সংলগ্ন ঘুঘুঝোড়া গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। বনদপ্তরের চেষ্টায় চিতাবাঘটিকে শেষমেশ জালবন্দি করা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় আতঙ্ক দানা বেঁধেছে এলাকায়।
রবিবার সকালে আচমকা একটি চিতাবাঘ ওই এলাকায় ঢুকে পড়ে। তা দেখে চক্ষু ছানাবড়া স্থানীয়দের। আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়রা আত্মরক্ষার স্বার্থে চিতাবাঘটিকে তাড়া করতে থাকে। চিতাবাঘটিও রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভয় পেয়ে একটি এলাকায় একের পর এক গাছে লাফাতে থাকে। একটি গাছের মগডালে উঠে পড়ে।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে হার, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, টুইটে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরে। একটুও সময় নষ্ট না করে ওই এলাকায় পৌঁছন বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগডোগরা থানার পুলিশও। ততক্ষণে অবশ্য একটি গাছের মগডালে বসে রয়েছে চিতাবাঘটি। এলাকায় ব্যাপক ভিড়ও জমে যায়। পুলিশের তৎপরতায় তড়িঘড়ি এলাকা ফাঁকা করার কাজ শুরু হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা।
কিন্তু চিতাবাঘটিকে গাছের মগডাল থেকে নামাতেই যেন কালঘাম ছোটে বনকর্মীদের। ওই গাছটিকে কেটে ফেলা হয়। তারপর গাড়ির সঙ্গে দড়ি বেঁধে গাছটিকে মাটিতে ফেলা হয়। চিতাবাঘটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর চকলেট বোমা ফাটিয়ে চিতাবাঘটিকে জালবন্দি করা হয়। তারপর তাকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখানেই ছেড়ে দেওয়া হবে চিতাবাঘটি। এদিকে, চিতাবাঘটিকে জালবন্দি করায় স্বস্তিতে স্থানীয়রা।
দেখুন ভিডিও: