সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল আইএসআইএস। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে তারা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ঢাকার মালিবাগ মোড়ে। এই ঘটনার জেরে এক মহিলা পুলিশকর্মী ও রিকশা চালক-সহ মোট তিনজন জখম হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় এবং জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় জখম মহিলা পুলিশকর্মীর নাম রাশেদা খাতুন বাবলি (২৮)। ঢাকা পুলিশের এএসআই পদে কর্মরত। তিনি ছাড়াও জখম হয়েছেন স্থানীয় রিকশা চালক লাল মিঞা (৫০) ও এক পথচারী। জখমদের মধ্যে বাবলি ও লাল মিঞা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন- ভিসা নিয়ে তুঙ্গে দু’দেশের লড়াই, পাকিস্তানকে দুষছে বাংলাদেশ]
এপ্রসঙ্গে রবিবার মতিঝিল এলাকার অতিরিক্ত উপকমিশনার শিবলি নোমান জানান, রাত নটার দিকে পুলিশের একটি গাড়ি মালিবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। পাশেই কর্তব্যরত ছিলেন এএসআই রাশেদা। হঠাৎ ওই গাড়ির কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে রাশেদার পায়ে এবং লাল মিঞা মাথায় আঘাত লাগে। রাশেদাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর লাল মিঞাকে ভরতি করা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন- বাতিল হচ্ছে ডিজেলে টানা ট্রেন, বিদ্যুৎচালিত রেল চালুর ঘোষণা শেখ হাসিনার]
এটাকে কী নাশকতার ঘটনা বলবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, “বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। এটা বোমা নাকি ককটেল সেটাও জানা যায়নি।” ওই গাড়ির চালক কনস্টেবল শফিক জানান, ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা কী যেন ছুঁড়ে মারে। এরপর আচমকা বিকট শব্দ হয় এবং গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের দালানের কাঁচও ভেঙে গেছে।” রাশেদা জানান, তিনি রাস্তায় ডিউটি করছিলেন। আচমকা তাঁর পাশে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। পাশে থাকা পুলিশের গাড়িটির পিছন দিকেও আগুন ধরে যায়। আহত রিকশা চালক লাল মিঞা জানান, তাঁর বাসা তেজকুনি পাড়ায়। রিকশা নিয়ে মালিবাগ মোড়ে বসেছিলেন। এমন সময়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তবে কাউকে তিনি দেখেননি।গত ২৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন পুলিশকর্মী জখম হন। ওই ঘটনারও দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
The post ঢাকায় পুলিশ ভ্যানে বিস্ফোরণের জেরে জখম তিন, দায় স্বীকার আইএসের appeared first on Sangbad Pratidin.