সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno national park) মৃত্যু হল আরও একটি চিতার। এ নিয়ে পাঁচ মাসে ভারতের মাটিতে মৃত্যু হল ৯টি চিতার। কুনো কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ধাত্রী নামের এক স্ত্রী চিতাকে (Cheetah) এদিন সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। চিতাটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তবেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়েই মৃত্যু হয়েছিল সুরজ ও তেজস নামে দুই চিতার। এবার মৃত্যুর তালিকায় যোগ হল আরও এক চিতার নাম। এ বছর মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বনপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভান ডার মেরওয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, ভারতে আরও চিতার মৃত্যু হতে পারে। তাঁর দাবি ছিল, অন্য সমস্ত দিক ঠিক থাকলেও চিতা যখন নিজের এলাকা চিহ্নিত করবে তখন তাকে মোকাবিলা করতে হবে বাঘ এবং চিতাবাঘের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে বিদেশ থেকে আনা চিতার এঁটে ওঠা মুশকিল। যদিও অন্য কোনও প্রাণীর সঙ্গের মারামারিতে এখনও পর্যন্ত কোনও চিতার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বরং নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মৃত্যু হয়েছিল স্ত্রী চিতা দক্ষের।
[আরও পড়ুন: বিয়ের পর সম্পর্ক রাখছেন না প্রেমিকা! ব্রেক আপ করতেই খুন ‘প্রেমিকে’র!]
গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা মেনে আফ্রিকার একাধিক দেশ থেকে ভারতে চিতা আনা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা আনা হয় কুনোর জঙ্গলে। এ বছর ১২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আসে ভারতে। কিন্তু পরপর চিতামৃত্যুতে ভারতের জঙ্গলে পুনরায় চিতা ফিরিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নরেন্দ্র মোদি করেছিলেন, তা বড়সড় ধাক্কা খেল, বলাই যায়। এদিকে সম্প্রতি এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রকে। তিন সদস্যের বেঞ্চের তরফে মোদি সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হল, দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলায় সদর্থক পদক্ষেপ করার জন্য।