shono
Advertisement

Breaking News

স্পেনের ক্লাবে খেলে এনরিকের দলের দৌড় থামিয়েছেন, মরক্কোর গোলকিপার খেলে গিয়েছেন এই ভারতেও

কবে এদেশে এসেছিলেন বোনো?
Posted: 06:08 PM Dec 07, 2022Updated: 06:48 PM Dec 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলতে গেলে স্পেনের ক্লাব তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে। বুলফাইটিংয়ের দেশের একাধিক ক্লাবে তিনি খেলেছেন। এহেন ইয়াসিন বোনোর (Yassine Bounou) হাতই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিল স্পেনকে।

Advertisement

মরক্কোর (Morocco) গোল আগলানোর দায়িত্বে থাকা গোলকিপার চার বছর আগে খেলে গিয়েছেন এই দেশেও। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ২০১৮ সালে কোচিতে একটি টুর্নামেন্ট হয়েছিল। স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাব জিরোনার হয়ে ভারতে খেলতে এসেছিলেন তিনি। প্রাক মরশুমের সেই প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে খেলেছিল কেরল ব্লাস্টার্স, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন সিটি এফসি। প্রথম ম্যাচ জিরোনা জিতেছিল হাফ ডজন গোলে। সেই ম্যাচে তাঁর একটি সেভ বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে জিরোনার হয়ে খেলেননি বোনু। তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। যদিও জিরোনা সেই ম্যাচ জিতেছিল ৫-০ গোলে। টুর্নামেন্টও জিতে নিয়েছিল স্পেনের ক্লাব। 

[আরও পড়ুন: রোনাল্ডো নাটকে এবার শামিল প্রেমিকা জর্জিনাও, কোচের সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে কটাক্ষ]

 

বোনো সারাবছর স্পেনেই থাকেন। স্পেনের বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লোস সোলার এবং সের্জিও বুস্কেটের শট বাঁচান তিনি। তার আগে অবশ্য পেনাল্টি শুট আউটে স্পেনের একটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। পেনাল্টি শুট আউটে বোনো একাই হৃদয় ভেঙে দেন স্পেনীয়দের। প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল মরক্কো।

২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ঘানা। এবার মরক্কো। পেনাল্টি শুট আউটের সময়ে তিনি বারংবার স্পেনের খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছিলেন।

বোনোর জন্ম কানাডার মন্ট্রিয়েলে। অল্প বয়সেই তিনি পরিবারের সঙ্গে মরক্কোয় যান। মাত্র ৮ বছর বয়সে ওয়াইদাদ ক্যাসাব্লাঙ্কা ক্লাবে যোগ দেন তিনি। ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সেই ক্লাবেই খেলেন তিনি। ক্যাসাব্লাঙ্কা ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচ খেলেছিলেন। ২১ বছর বয়সে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ‘বি’ টিমের হয়ে খেলেন। কিন্তু মূল দলে জায়গা হয়নি।

২০১৪ সালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ চলে আসেন জারাগোজায়। এরপর বোনো যোগ দেন জিরোনায়। লা লিগায় উঠে আসে জিরোনা। ২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেন জিরোনায়। সেখান থেকে লোনে সেভিয়ায় যোগ দেন মরক্কোর গোলকিপার।

কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলেন বোনো। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে তাঁর নাম ছিল। দলের সঙ্গে জাতীয় সংগীতও গান তিনি। তাঁকে গ্লাভস পরে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু তিনি খেলেননি। মরক্কোর হেড কোচ জানিয়েছিলেন, শারীরিক দিক থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন বোনো। ফলে শেষ মুহূর্তে বোনোর জায়গায় খেলেন মুনির। মরক্কো ২-০ গোলে হারায় বেলজিয়ামকে। কানাডার বিরুদ্ধে ফের বারের নীচে দাঁড়ান বোনো। সেই ম্যাচ ২-১ গোলে জেতে মরক্কো। তার পরে গতকাল প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনকে থামান বোনো।
আচরফ হাকিমির সঙ্গে তাঁর মায়ের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পেনাল্টি শুট আউটের গুরুত্বপূর্ণ শটটি নিয়েছিলেন হাকিমি। তাঁর পানেনকা মরক্কোকে পৌঁছে দেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। দলকে শেষ আটে পৌঁছে দেওয়ার পরে ছেলেকে স্নেহচুম্বন করতে দেখা যায় হাকিমির মাকে। মাদ্রিদের রাস্তায় বড় হয়ে উঠেছেন হাকিমি। স্পেনের হয়ে খেলতেই পারতেন হাকিমি। কিন্তু মরক্কোর হয়ে খেলবেন বলেই স্থির করেন। ছেলের উন্নতির জন্য দারুণ ত্যাগ করেন হাকিমির মা-বাবা। একবার হাকিমি বলেছিলেন, তাঁর ফুটবল কেরিয়ার উৎসর্গ করছেন মা-বাবাকে। সেই কারণেই পেনাল্টি শুট আউট থেকে গোল করার পরে হাকিমি ছুটে যান গ্যালারিতে। জড়িয়ে ধরেন মাকে। মা তাঁকে চুম্বন করতে থাকেন। কাতারে রূপকথা লেখার পরে মা ও ছেলের সেই মিলনান্তক ছবি বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। 

 

[আরও পড়ুন: রোনাল্ডো, আপনি এখন ২০ মিনিটের প্লেয়ার! মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement