সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভারে কঠিন অসুখ (Liver Disease) ছাড়াও ক্যানসারে আক্রান্ত হন বাবা। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) ছাড়া বাঁচানো যাবে না রোগীকে। এই অবস্থায় বাবাকে নিজের লিভারের একটি অংশ দান করলেন নাবালিকা মেয়ে। নজিরবিহীন ঘটনা কেরলে (Kerala)।
দিব্য সুস্থ ছিলেন ৪৮ বছরের প্রথিস। ত্রিসুর শহরে তার একটি ক্যাফে রয়েছে। আচমকা খেয়াল করেন দুই পা জল জমে ফুলে উঠছে। এরপরেই জানতে পারেন তাঁর যকৃত অর্থাৎ কিনা লিভারের অবস্থা ভাল নয়। এমনকী ক্যানসারের লক্ষণও রয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও এক সময় চিকিৎসকরা জানান, অঙ্গপ্রতিস্থাপন ছাড়া উপায় নেই। এর পর অঙ্গদাতার খোঁজ শুরু হয়। যদিও তা মেলেনি। এই অবস্থায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ১৭ বছরের দেবানন্দা সিদ্ধান্ত নেন, নিজের লিভারে কিছুটা একটি অংশ বাবাকে দান করবেন।
[আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু এবং দলিতদের স্কলারশিপেও দুর্নীতি! উত্তরপ্রদেশজুড়ে তল্লাশি ইডির]
যদিও বাধা হয় আইন। কারণ ১৯৯৪ সালের একটি আইন অনুযায়ী নাবালক হলেই কেবলমাত্র অঙ্গদান স্বম্ভব। এই অবস্থায় বিশেষ অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দেবানন্দা। শুনানি শেষে মানবিক কারণে নাবালিকার অঙ্গদানে অনুমতি দেয় কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। এরপরে বাবা ও মেয়ের অস্ত্রোপচার হয় রাজাগিরি হাসপাতালে। হাসপাতাল সুপার ফাদার জনসন ভাঝাপিল্লি বলেন, “দেবানন্দা অসম্ভব সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।”
[আরও পড়ুন: ভারতে আরও চিতার আগমন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একডজন প্রাণীকে ছাড়া হল কুনো অরণ্যে
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেবানন্দা অঙ্গদানের জন্য রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চা করতেন। এর পরেই অস্ত্রোপচার হয়। সপ্তাহ খানেক হাসপাতালে ভরতি থাকার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তরুণী।