সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) চার দিনের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে অভিযুক্ত খোদ পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের পায়ের তলায় পিষে মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুটির। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। নিন্দায় সরব হয়েছে আমজনতা। শিশুমৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন (Hemant Soren)। প্রাথমিক তদন্তের পর ৬ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৫ পুলিশকর্মীকে।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার কোসোগন্ডদিঘি গ্রামের। শিশুটির ঠাকুরদার নাম ভূষণ পাণ্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার ভূষণের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বাড়ি ছেড়ে পালান তিনি। কিন্তু তাঁকে ধরতে হুড়মুড় করে পুলিশকর্মীরা বাড়িতে ঢোকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘আদানিকে গ্রেপ্তার করুন’, অর্থমন্ত্রী ও ইডি দপ্তরে দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল]
প্রতিবেশীদের দাবি, মেঝেতে শোয়ানো ছিল শিশুটিকে। বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশকর্মীদের পায়ের তলায় পড়ে যায়। শিশুর মা নেহা দেবীর অভিযোগ, বাড়ির সবকটি ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ বাহিনী। আমরা তখন ভয়ে সরে যাই। ফিরে এসে দেখি মেঝেতে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে শিশু। পরিবার অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তকে না পেয়ে শিশুটিকে পায়ে পিষে মেরে ফেলেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ]
এই ঘটনায় রাজ্যের আমজনতা নিন্দায় সরব হয়েছে। এরপরই শিশুমৃত্যুর কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, পায়ের তলায় চাপা পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর ৬ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ৫ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।