অর্ণব আইচ: জতুগৃহ বাগরি মার্কেট। শনিবার মধ্যরাতে ফিরল নন্দরাম মার্কেটের সেই ভয়াবহ আগুনের স্মৃতি। রাত তিনটে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন। সাত ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু আগুন এখনও নেভেনি। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকেছে। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক দমকল কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[বিধ্বংসী আগুন কলকাতার বাগরি মার্কেটে, বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ব্যবসায়ীদের]
শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বাগরি মার্কেটের ব্লক এ-র অংশটি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্লক বি-এর একাধিক দোকানগুলিতেও। দমকল সূত্রে খবর, সি ব্লকের সামনের ট্রান্সফর্মার ফেটেই আগুন লাগে। প্রথমে তা ছড়িয়ে পড়ে উলটো দিকের মেহতা বিল্ডিংয়ে। তবে সেখানে লোকজন উপস্থিত থাকায় সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। কিন্তু বাগরি মার্কেটের বিল্ডিংয়ের দিকটিতে কেউ না থাকায় মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিল্ডিংয়ের ভিতরে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই সেই বিকট আওয়াজ হয় বলে খবর। যার ফলে আগুন নেভানো আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ল্যাডার ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সাত ঘণ্টা পরও কোনও মতেই আগুন বাগে আনতে পারছেন না দমকল কর্মীরা। তীব্র ধোঁয়ায় এরইমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক কর্মী। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দমকল কর্মীদের কাছে এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় স্থানীয়দের সেখান থেকে সরিয়ে আনা। জানা যাচ্ছে, ওই বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় কয়েকটি পরিবার থাকত। আগুন লাগে বুঝতে পেরেই তাঁরা রাতে নেমে এসেছিলেন। তবে ওই এলাকাতেই রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ধোঁয়ায় স্থানীয়দের সরানোর কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই শুরু হবে রাম মন্দির তৈরির কাজ’]
এদিকে, ইউরোপ সফরে পাড়ি দেওয়ার আগে ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে তিনি বলেন, “আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে শুনলাম কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।” মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও রাত থেকেই রয়েছেন ঘটনাস্থলে। বলেন, “এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এমন ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়।”
দেখুন দাউ দাউ করে জ্বলছে বাজারের একাংশ:
The post তীব্র ধোঁয়ায় ঢেকেছে বাগরি মার্কেট এলাকা, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন স্থানীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.