দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশনে। রবিবার সাড়ে ১০টা নাগাদ আচমকা স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মে আগুন দেখতে পান হকার ও নিত্যযাত্রীরা। স্টেশনে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে জলের কোনও উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় দমকল কর্মীদের। বারুইপুর, ক্যানিং থেকে বাড়তি দমকলের ইঞ্জিন ডাকা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার জেরে শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল। মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। স্টেশনে প্রচুর হকার রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে প্লাস্টিক-সহ একাধিক দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে নামেন।
স্টেশনে বিধ্বংসী আগুন। আটকে যাত্রীরা। নিজস্ব ছবি।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে ১০ টা নাগাদ। শিয়ালদহ-ক্যানিং শাখার ঘিঞ্জি স্টেশন ঘুটিয়ারি শরিফে আগুন লেগে যায়। তা প্রথম নজরে আসে হকারদেরই। এই স্টেশনে প্রচুর হকার। তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের মধ্যে প্রচুর দাহ্য পদার্থও রয়েছে। সেই কারণে স্টেশনের আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। নিমেষে ভিড় জমে যায় স্টেশনে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় বাড়তে থাকে আতঙ্ক।
[আরও পড়ুন: সিভিকদের শৃঙ্খলার পাঠ দিতে ৪৫ দিনের কোর্স করাবে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ]
এর পর ক্যানিং, বারুইপুর থেকে দমকলের আরও ইঞ্জিন আনা হয়। তবে জলের উৎস না থাকায় দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে যথেষ্ট প্রতিকূলতার মধ্য়ে পড়েন। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। স্টেশনে থাকা বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষতি তো হয়েছেই। রেলের আশঙ্কা, আগুন দ্রুত নেভাতে না পারলে রেলের যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে পারে। ফলে সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে এই মুহূর্তে আগুন নেভাতে অত্যন্ত তৎপর দমকল বাহিনী।