অভিরূপ দাস: ক্রমশ গভীর হচ্ছে শাহজাহান অন্তর্ধান রহস্য। সোশাল মিডিয়ায় ‘অ্যাকটিভ’ হলেও, পুলিশের কাছে ‘ফেরার’ তৃণমূল নেতা। ২২ দিন পরেও সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার খোঁজ পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এবার শাহজাহানের সমালোচনায় সরব ফিরহাদ হাকিম। ইডির উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে।”
শনিবার সিরিটি শ্মশান সংস্কারের কাজ পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। সেখানে শাহজাহানের ‘ডেরা’য় গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার প্রসঙ্গ ওঠে। ফিরহাদ বলেন, “ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা ঠিক হয়নি। যা হয়েছে, তা অন্যায় হয়েছে।” এর আগে অবশ্য ইডির উপর হামলার ঘটনায় জনরোষের তত্ত্ব খাড়া করেছিল শাসক শিবির। ইডিই পুলিশকে না জানিয়ে তদন্তে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। তবে এবার শাসক শিবির অবস্থান বদল করেছে বলেই সরব বিরোধীরা। শাহজাহানকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ ও ইডি, সে কারণেই সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার সঙ্গে ঘাসফুল শিবির দূরত্ব বাড়াচ্ছে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: অফিসের স্ট্রেস থেকেই রাজ্যে বাড়ছে সন্ধ্যার পথদুর্ঘটনা! সমীক্ষায় এল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে শেখ শাহজাহানের। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। তবে তৃণমূল নেতার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইডির দাবি, তাঁর দুটি ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। একটি নম্বর ব্যস্ত ছিল। আরেকটিতে ফোন ধরেন শাহজাহান। ইডি শুনেই ফোন কেটে দেন। আর তার পরই হামলা শিকার হন ইডি আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের গাড়িতেও। এর পর গত ২৪ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডি। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহানের। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসে সোশাল মিডিয়ায় সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। ওই পোস্টের পর হইচই হওয়ায় তা ডিলিটও করে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা নিজেই পোস্ট করেছিলেন নাকি অন্য কেউ, তা নিয়ে শুরু জোর জল্পনা।