শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের সাংগঠনিক সভা থেকে নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করার পরামর্শ দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। নির্দেশ দিলেন বুথে বুথে গিয়ে প্রচারের। বললেন, মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সমস্যার সমাধান করতেই হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রভবনে জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেখান থেকে দলের কর্মীদের বলেন, “এক পরিবারে ভাইদের মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে, কিন্তু সেটা যেন রাস্তায় না নেমে আসে। দলের জন্যই এক হয়ে কাজ করতে হবে। বুথে বুথে গিয়ে প্রচার করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে আমরা থাকব, তা না হলে সব ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে, শেষ হয়ে যাবে।” তৃণমূলত্যাগীদের তুলোধনা করে বলেন,”যারা চলে গেল, সেসব কথা ছেড়ে দিন। বেইমানরা সব নিয়ে চলে গেল, ওটা ওদের স্বভাব। এসব কথা না ভেবে, বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না, এই মন্ত্র নিয়ে বুথে বুথে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।” দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এদিন পুরমন্ত্রী বলেন, “আগামী তিনপুরুষে বিজেপি ঢুকতে পারবে না বাংলায়। গেরুয়াদের ঠেকানোর একমাত্র অস্ত্র তৃণমূল। কারণ আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে।”
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার সভা চলাকালীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকদের বিক্ষোভ, মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী]
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস নিয়ে অনেকে অনেক কিছু করছে, কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। নেতাজির নীতি মানতে হবে, তা হলেই নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।” এদিন ইসলামপুরের বিধায়ক যত দ্রুত সম্ভব সব আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণার জন্য ফিরহাদকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন। বলেন, আগেভাগে প্রস্তুতি সেরে ফেললে তাঁদের পক্ষে অনেক সুবিধা হবে। উল্লেখ্য, এসবের মাঝেও এদিনের সভায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের অন্তকর্লহের ছবি। সভা চলাকালীনই বসার জায়গা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক কাউন্সিলর।