shono
Advertisement
RG Kar Hospital

'আপনার মেয়ে হয়তো সুইসাইড করেছে', রহস্য আরও জটিল করে ভাইরাল 'হাসপাতালের প্রথম ফোন'

তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন বাবা-মা। এবার প্রকাশ্যে এল তিনবার ফোনে কথোপকথনের অডিও। সম্ভবত দেহ উদ্ধারের পর এটিই 'প্রথম ফোন হাসপাতালের'। যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
Published By: Sayani SenPosted: 05:43 PM Aug 29, 2024Updated: 08:05 PM Aug 29, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন বাবা-মা। এবার প্রকাশ্যে এল তিনবার ফোনে কথোপকথনের অডিও। সম্ভবত দেহ উদ্ধারের পর এটিই 'প্রথম ফোন হাসপাতালের'। যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।

Advertisement

ভাইরাল হওয়া প্রথম অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী বলছেন?
মহিলা কণ্ঠ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বলছিলাম।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে?
মহিলা কণ্ঠ: ওর একটু শরীরটা খারাপ হয়েছে। আপনার এক্ষুণি আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
মহিলা কণ্ঠ: ওর শরীরটা খারাপ। আমরা ভর্তি করাচ্ছি। আপনারা ইমিডিয়েট আসতে পারবেন?
পুরুষ কণ্ঠ: কেন কী হয়েছে কী?
মহিলা কণ্ঠ: সেটা তো ডাক্তাররা বলবে আপনারা এলে। আপনার নম্বরটা জোগাড় করলাম। করে জানালাম। যে বাড়ির লোক হিসাবে তাড়াতাড়ি আসুন।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটা বলো না তুমি।
মহিলা কণ্ঠ: পেশেন্ট শরীরটা খারাপ। ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বাকিটা আপনারা এলে, ডাক্তার বলবেন।
অপর মহিলা কণ্ঠ: ওর কী জ্বর হয়েছে?
মহিলা কণ্ঠ: আপনারা একটু আসুন। জলদি চলে আসুন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসবেন।
পুরুষ কণ্ঠ: কেন ওর কী খুব অবস্থা খারাপ?
মহিলা কণ্ঠ: খুব অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।

ভাইরাল হওয়া দ্বিতীয় অডিওটিতে একটি মহিলা এবং পুরুষ কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে কী সেটা বলো না একটু।
মহিলা কণ্ঠ: ওঁর অবস্থা খুবই খারাপ। যত তাড়াতাড়ি পারেন, চলে আসুন একটু।
পুরুষ কণ্ঠ: কী হয়েছে সেটা বলো না!
মহিলা কণ্ঠ: সেটা তো ডাক্তার বলবে, আপনারা তাড়াতাড়ি একটু চলে আসুন না।
পুরুষ কণ্ঠ: আপনি কে বলছেন বলুন তো?
মহিলা কণ্ঠ: আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। ডাক্তার বলছি না।
পুরুষ কণ্ঠ: ডাক্তার নেই ওখানে কেউ?
মহিলা কণ্ঠ: আপনার মেয়েকে আমরা এমার্জেন্সিতে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসুন। এসে যোগাযোগ করুন।
অপর মহিলা কণ্ঠ: কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল।
মহিলা কণ্ঠ: আপনারা জলদি চলে আসুন। যতটা তাড়াতাড়ি পারবেন। শুনুন আপনাকে তখন বারবার বলছিলাম। ব্যাপারটা হচ্ছে যে আপনার মেয়ে উনি সুইসাইড করেছেন হয়তো। বা মারা গিয়েছে। পুলিশ রয়েছে। আমরা হসপিটালে সবার সামনেই রয়েছি। ফোন করছি। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।

[আরও পড়ুন: ব্যর্থ পুনর্বাসনের চেষ্টা! আর জি করের ‘ভিলেন’ অরুণাভকে ঘরবন্দি করলেন মালদহ মেডিক্যালের জুনিয়ররা]

ভাইরাল হওয়া তৃতীয় অডিওটিতে একটি পুরুষ এবং মহিলা কণ্ঠের কথোপকথন শোনা গিয়েছে।
পুরুষ কণ্ঠ: হ্যালো।
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ বলুন!
পুরুষ কণ্ঠ: আমি আইসি আর জি কর বলছিলাম। আচ্ছা আপনারা আসছেন তো?
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ, একদম আসছি। কেমন আছে শরীর?
পুরুষ কণ্ঠ: আপনারা আসুন। আসলে কথা হবে। আর জি কর হাসপাতালে আসুন। চেস্ট ডিপার্টমেন্টের এইচওডি স্যারের কাছে আসুন।
মহিলা কণ্ঠ: হ্যাঁ।
পুরুষ কণ্ঠ: আসুন।

এই অডিও ক্লিপিংসগুলির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ভাইরাল হওয়া এই ফোনকল সম্পর্কে অবশ্য কিছু জানা নেই বলেই দাবি নির্যাতিতার বাবা-মায়ের।

[আরও পড়ুন: ‘মানুষখেকো’ নেকড়ের হানায় ঘুম ছুটেছে উত্তরপ্রদেশের! মৃত্যু ৬ শিশু-সহ ৮ জনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন ফোন পেয়েছিলেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন বাবা-মা।
  • এবার প্রকাশ্যে এল তিনবার ফোনে কথোপকথনের অডিও।
  • সম্ভবত দেহ উদ্ধারের পর এটিই 'প্রথম ফোন হাসপাতালের'। যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
Advertisement