সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন। সেখানে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করলেন হিন্দু মহিলা সভেরা প্রকাশ। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বুনের জেলার পিকে-২৫ কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও হিন্দু মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বাভাবিকভাবেই এখন পাক রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে সভেরা। তিনি সে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি পাকিস্তান পিপলস পার্টির হয়ে লড়াই করবেন। ওই দলেরই নেত্রী ছিলেন বেনজির।
সভেরা পেশায় চিকিৎসক। তিনি বছরখানেক আগে এমবিবিএস শেষ করেছেন। বাড়ি খাইবার পাখতুনখাওয়ার বুনের জেলায়। তাঁর বাবা ওম প্রকাশ সরকারি চিকিৎসক ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকে পিপিপি’র সদস্য। বাবার দেখাদেখি মেয়েও চিকিৎসার পাশাপাশি রাজনীতিতে আগ্রহী। সভেরা পাকিস্তানে (Pakistan) নারীর অধিকার আন্দোলনেও এক পরিচিত মুখ। পিপিপি নেতৃত্ব দলের সঙ্গে সভেরার পরিবারের দীর্ঘ সম্পর্ক এবং নারী আন্দোলনের সুবাদে পরিচিত মুখ হওয়ায় ওই তরুণীকে টিকিট দিয়েছে। তিনি পিপিপি’র বুনের জেলার মহিলা উইংয়ের সাধারণ সম্পাদকও। এক সাক্ষাৎকারে সভেরা বলেছেন, বাবাকে অনুসরণ করেই তাঁর রাজনীতিতে আসা। জাতীয় সংসদে গিয়ে তিনি নারীর অধিকার নিয়েই সরব হবেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণ, মিলল গাজায় হামলার ‘বদলা’র চিঠি!]
পাকিস্তানে দু’বার প্রধানমন্ত্রী হন প্রয়াত বেনজির ভুট্টো। প্রথমবার দেশ পরিচালনার ভার পান তিরিশ বছর আগে ১৯৯৩-এর অক্টোবরে। হিনা রব্বানি খারের মতো নারী দেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। পাক সংসদে মহিলা মুখের অভাব নেই। কিন্তু সে দেশে এতদিন কোনও হিন্দু মহিলাকে নির্বাচনের ময়দানে দেখা যায়নি। স্বভাবতই দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় সভেরাকে নিয়ে পাকিস্তানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জনপ্রিয় পাক ইউটিউবার ইমরান নোসাদ বলেছেন, সভেরার মতো নারীর প্রার্থী হওয়া পাকিস্তানে খুব জরুরি ছিল। পিতৃতান্ত্রিকতার বাঁধন থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে মানুষ সভেরার পাশে থাকবেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে এবারই প্রথম মহিলাদের জন্য পাঁচ শতাংশ সাধারণ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।