সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনার আবহেই এবার বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর এই প্রথমবার মুখোমুখি হবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আগামী ১৭ নভেম্বর BRICS শীর্ষ বৈঠকে দেখা হবে তাঁদের। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এই বৈঠক হবে ভারচুয়াল। ২০১৪ সালের পর থেকে মোদি-জিনপিং বৈঠক হয়েছে ১৮ বার। তার মধ্যে দু’বার তাঁদের বৈঠক হয় ২০১৮ সালে উহানে ও ২০১৯ সালে মামাল্লাপুরমে।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিশকেকের এসসিও শীর্ষ বৈঠকের সময় সাক্ষাৎ হয় শি জিনপিংয়ের। এরপর জিনপিং ভারতে এসেও মোদির সঙ্গে দেখা করেন। BRICS শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে এর আগে দুই রাষ্ট্রনেতা একে অপরের দেশেও গিয়েছেন। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গিয়েছিলেন শিয়ামেনে। তার আগে ২০১৬ সালে জিনপিং এসেছিলেন গোয়ায়।
[আরও পড়ুন: যোগীর পুলিশে আস্থা নেই! ৮০০ কিলোমিটার দূরে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের নেপালের যুবতীর]
এবারের BRICS শীর্ষ বৈঠকে সংগঠনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্ব, আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই এই বৈঠকের লক্ষ্য বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, মূলত তিনটি বিষয় শান্তি ও সুরক্ষা, অর্থনীতি এবং মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে কথা বলবেন পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিরা।
বিশ্বব্যাপী অতিমারীর কথা মাথায় রেখে এবারের বৈঠক হবে ভারচুয়াল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিলিত হবেন রাষ্ট্রনেতারা। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকে ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার প্রসঙ্গ উঠতে পারে। এদিকে, ভারতের বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল রাকেশ কুমার সিং বাদুড়িয়া সোমবার জানিয়ে দেন, চিন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তত রয়েছে ভারত। তিনি আরও বলেন, ‘‘লাদাখের পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় প্রস্তুত এবং সতর্ক।’’