shono
Advertisement
Myanmar

গৃহযুদ্ধে বেকায়দায় জুন্টা পাশে চাইছে ভারতকে? থাইল্যান্ডে মোদি সাক্ষাতে মায়ানমারের সেনাপ্রধান

পড়শি দেশে অশান্তির আঁচ এসে লেগেছে ভারতেও।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 02:36 PM Apr 04, 2025Updated: 04:09 PM Apr 04, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার। টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের। জুন্টা সরকারের বাহিনীকে হঠিয়ে একের পর এক জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংককে বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন মায়ানমারের জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন আউং হ্লাইং। দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। মনে করা হচ্ছে, গৃহযুদ্ধ থামাতে এবার নয়াদিল্লির শরণাপন্ন হয়েছে মায়ানমার। আসরে কী নামবে ভারত? 

Advertisement

জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার সাক্ষাৎ হয় মোদি-হ্লাইংয়ের। কয়েকদিন আগেই ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে মায়ানমারে। এই বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। পড়শি দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ‘অপারেশন ব্রহ্ম’ শুরু করে ভারত। সেনা বিমানে ইয়াঙ্গুনে পাঠানো হয় ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী। এদিনের আলোচনায় মূলত এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়েই হ্লাইংয়ের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। মায়ানমারের সেনাপ্রধানের কাছে মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার আশ্বাস দেন মোদি। বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘‘ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে যোগাযোগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’’

তবে মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের আবহে এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা। গত চার বছর ধরে তারাই দেশ চালাচ্ছে। সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে মায়ানমারে। এর মাঝেই জোট বাঁধে তিন বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ (তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি), আরাকান আর্মি ও এমএনডিএএ (মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি)। এই জোটের নাম ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট শুরু করে ‘অপারেশন ১০২৭’। এর জেরে মায়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মায়ানমারের উত্তরের রাজ্য রাখাইনের দখল নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এই রাখাইনই এখন গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়া কয়েকদিন আগে মায়ানমারের অন্যতম বড় শহর মংডু দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।

আর এই গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তাদের সঙ্গে মিশে জঙ্গিরাও অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। পড়শি দেশে অশান্তির আঁচ এসে লেগেছে ভারতেও। মণিপুর, অসমের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ঢুকে পড়ছে উদবাস্তুরা। বাড়ছে মাদকচক্র, অস্ত্র পাচার, মানব পাচারের মতো ঘটনা। এদিকে, চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে রয়েছে মায়ানমার। যার ফলে বঙ্গোপসাগরেও চোখ রাঙাচ্ছে লাল ফৌজ। তাই চিনের প্রভাব খর্ব করতে ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ থামাতে আসরে নামতেই পারে ভারত। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার। টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছে বিদ্রোহীদের।
  • জুন্টা সরকারের বাহিনীকে হঠিয়ে একের পর এক জায়গা দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এ
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন মায়ানমারের জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন আউং হ্লাইং।
Advertisement