সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলছে যুদ্ধ। ইউক্রেন ও রাশিয়ার এই সংঘাত অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে সাধারণ নাগরিকের জীবনে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে সম্প্রতি এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, লড়াইয়ের জেরে ইউক্রেনে বাড়িঘর ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ।
এএফপি সূত্রে খবর, ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি রুশ অধিকৃত অঞ্চল–ডোনেৎস্ক, লুহানস্ক (একত্রে দোনবাস), জাপরজাই ও খেরসন থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ। বুধবার এই বিষয়ে রুশ নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পেত্রোশেভ বলেন, “দোনবাস ও দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ থেকে পালিয়ে এসে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ।” তবে, কীভাবে এবং কোন সময় এই বিপুল জনস্রোত রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি। তবে রুশ অধিকৃত ইউক্রেন থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের দিকে ‘বিশেষ নজর’ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পেত্রোশেভ আরও জানান, স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এলে শরণার্থীদের নিজের বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে মস্কো।
[আরও পড়ুন: আরও মজবুত রাশিয়া-ইরান অক্ষ, অস্ত্র চুক্তিতে সই মস্কো-তেহরানের]
এদিকে, বুধবার এক পৃথক বিবৃতি জারি করে রুশ বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ যুদ্ধ শুরু হওয়ার দিন থেকে এপর্যন্ত ৪৬ লক্ষ ইউক্রেনীয় নাগরিক রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ৭ লক্ষ শিশু। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় যুদ্ধবিধ্বস্ত রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে অন্তত ৪ হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলে ‘মার্শাল ল’ জারি করেছে রাশিয়া। কয়েকদিন আগেই ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রুশ ভূখণ্ডের সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই ঘটনায় সরাসরি ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন পুতিন (Vladimir Putin)। তিনি বলেছেন, “এই ঘটনাটি আসলে জঙ্গি আক্রমণ। ইউক্রেনের গোয়েন্দা দপ্তরের কারসাজির ফলেই সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।” প্রতিশোধ নিতেই গত কয়েকদিনে কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। তাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। রুশ বোমায় বিদ্যুৎ জোগানের পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউক্রেনের অনেক অমনঘষ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বলেও খবর।