সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: পর্যটন ব্যবসার নামে চলছিল রমরমিয়ে মধুচক্রের কারবার। বকখালির হোটেলে বসেছিল মধুচক্রের সেই আসর। সেখানে হানা দিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার বকখালির একটি হোটেলে আচমকাই হানা দেয় সুন্দরবন জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নামখানা সার্কেল ইন্সপেক্টর সুরজিৎ সাধুখাঁর নেতৃত্বে ও ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ওসি ঋদ্ধি সরকারের সহযোগিতায় সুন্দরবন জেলা পুলিশের এক বিশেষ বাহিনী অভিযান চালায়। বকখালি সমুদ্র সৈকতের পাশে একটি হোটেলটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ফাঁস হয়ে যায় পর্যটন ব্যবসার নামে হোটেলের মধুচক্রে পর্দা।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) কৌস্তভাদিত্য আচার্য শুক্রবার জানিয়েছেন, হোটেলে মধুচক্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত পাঁচজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে এদিন কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। প্রত্যেককে পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করেছে পুলিশ। ধৃত পাঁচজনের মধ্যে ওই এলাকারই দুই ব্রোকার ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার লক্ষীপুরের বাসিন্দা মদন পাত্র ও অমরাবতীর বাসিন্দা ভৃগুরাম রাণা। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন হোটেলের ম্যানেজার বিকাশ মল্লিক, কাকদ্বীপের নারায়ণপুর ও গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা অরূপ দাস এবং কৌশিক প্রধান নামে দুই খরিদ্দার। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানের পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন (১৯৫৬) এর ৩, ৪, ৫ ও ৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মধুচক্রের আসর থেকে চার মহিলাকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ।