সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তীব্র গরমের পর এবার বেলাগাম বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরপ্রদেশের বেশির ভাগ অংশে তৈরি হল বন্যা পরিস্থিতি। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের বহু জেলা প্লাবিত হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ভয়ানকভাবে বিপর্যস্ত। তার সঙ্গে গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী সংলগ্ন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিহারেও। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মুজফ্ফরপুরের। বাগমতী এবং লখনদেই নদী বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। নদীর জল বসতি এলাকায় ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বকুচী, পতারি, অন্দামা, বসঘট্টা নওয়াদা, গঙ্গৈয়া গ্রাম। প্রায় ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বিহার উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গোয়ায় মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই রাজ্যগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে গোয়া, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশেও।
[আরও পড়ুন: মাসে ১০ হাজার! ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে পুরুষদের জন্য ‘লাডলা ভাই’ প্রকল্পের ঘোষণা শিণ্ডের]
তবে বন্যার জেরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসমের। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অসমের ২৪ টি জেলায় ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। জলের নিচে ডুবে রয়েছে ২ হাজার ৪০৬টি গ্রাম। ৩২ হাজার হেক্টরের বেশি জমি বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যার জেরে অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭। ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে অসমে ঘরছাড়া প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য সরকারের তরফে খোলা হয়েছে ৩১৬টি ত্রাণ শিবির।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে ছিঁড়ল জোটের সুতো, আপকে ‘পথ দেখিয়ে’ বিধানসভায় একা লড়ার ঘোষণা কংগ্রেসের]
মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্দশায় বন্যপ্রাণীরাও। বন্যার জেরে কাজিরাঙায় মৃত্যু হয়েছে ১০টি গণ্ডারের। ১৫০টি হগ ডিয়ার-সহ ১৮০টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক পশুকে।