শান্তনু কর ও নিরুফা খাতুন: বন্যায় ভাসছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এবার রাতভর মুষলধারে বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা। ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত বানভাসি বানারহাট, বিন্নাগুরি, গয়েরকাটার বিভিন্ন এলাকা। তবে ভোগান্তি এখনও শেষ হচ্ছে না। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বৃহস্পতিবারও উত্তরের একাধিক জেলায় ব্যাপক বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ফলে প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকাগুলি। নদীগুলিতে বাড়বে জলস্তর। ফলে উত্তরের বিপদ আরও বাড়বে।
জলপাইগুড়ির গয়ারকাটার অজয় ঘোষ কলোনি ইতিমধ্যে জলমগ্ন। জ্যোতির্ময় কলোনির প্রায় ১৫০ বাড়ি জলবন্দী। ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে মানুষ। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন এলাকার নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা। কোথাও দড়ির সাহায্যে কোথাও বা পিঠে করে পার করা হচ্ছে মানুষকে। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়। হাতিনালার জল উপচে ঢুকে পড়েছে বিন্নাগুরি এসএম কলোনি, নেতাজিপল্লি, সুভাষপল্লি এলাকায়। চাবাগানের উপর দিয়ে বইছে জলের স্রোত। ধূপগুড়ি শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোথাও হাঁটু তো কোথাও কোমর পর্যন্ত জল। ভোগান্তি বাড়ছে শহরবাসীর। আর ভূটান সীমান্তে জয়গাঁও এলাকার একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।
[আরও পড়ুন: রাজভবনের পিস রুমে জমা পড়া অভিযোগ জানাতে হবে আদালতে! রাজীবকে নির্দেশ রাজ্যপালের]
এদিকে এদিনও আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। দার্জিলিং থেকে উত্তর দিনাজপুর সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পার্বত্য এলাকা-সহ উপরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে কাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। শনি ও রবিবার উপকূলের জেলাগুলিতে বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।