সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলার শরীরে অনেক সময় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। ভ্রূণের বেড়ে ওঠা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এমনও যে হতে পারে ভাবেননি খোদ চিকিৎসকও!
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ থাকা এক যুবতীর শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে ডা. মাইকেল নার্ভে গর্ভস্থ ভ্রূণ খুঁজে পেলেন লিভারের ভিতর! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। এমন বিরলতম ঘটনার সাক্ষী হয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন কানাডার মানিটোবার চিল্ড্রেন্স হসপিটাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওই শিশু চিকিৎসক। ৩৩ বছরের ওই যুবতীর লিভারে থাকা ভ্রূণের স্ক্যানের টিকটক ভিডিও বানিয়েছেন তিনি। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নার্ভে বলেন, “৪৯ দিন আগে ওই যুবতীর শেষ ঋতুস্রাব হয়। পরীক্ষা করতে গিয়ে গর্ভাশয়ে কিছু দেখতে পেলাম না। সোনোগ্রাফির সময় হঠাৎ দেখি লিভারে ভ্রূণ চলে এসেছে। এটা এক ধরনের একটোপিক প্রেগন্যান্সি। যা খুবই বিরল এবং বিপজ্জনক। একটোপিক প্রেগন্যান্সিতে নিষিক্ত ডিম্বাণু গর্ভাশয়ের বদলে ফ্যালোপিয়ান টিউবে আটকে গিয়ে সেখানে বাড়তে থাকে। কখনও সার্ভিক্স বা তলপেটের দেওয়ালে বাড়তে থাকে। কিন্তু লিভারে একটোপিক প্রেগন্যান্সির ঘটনা ভীষণই বিরল ঘটনা।”
[আরও পড়ুন: COVID-19 Updates: নিম্নমুখী দৈনিক সংক্রমণের মধ্যেই ‘ওমিক্রন’ উদ্বেগ, ফাইজারের ৩টি ডোজ নিয়েও আক্রান্ত যুবক]
এরপরই যোগ করেন, “অনেক সময় দেখা গিয়েছে তলপেটে চলে গিয়েছে ভ্রূণ। কিন্তু লিভারে কখনও দেখিনি। আমার অন্তত এমন অভিজ্ঞতা প্রথমবার হল।” এই ঘটনায় অস্ত্রোপচার করে যুবতীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হলেও ওই ভ্রূণকে রক্ষা করা যায়নি।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের (National Centre for Biotechnology Information) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট ১৪টি লিভারে ভ্রূণ পাওয়ার ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। সেই কারণেই বেশ বিস্মিত ওই চিকিৎসক।