রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: সরষে বাটা দিয়ে হোক কিংবা শুধু তেল ঝোল। বাঙালির ইলিশ (Hilsa) প্রীতি নতুন কিছু নয়। দামে হাতে ছেঁকা লাগতে পারে। কিন্তু ইলিশের দিক থেকে মুখ ফেরানো নৈব নৈব চ! তাই দাম বেশি হলেও বর্ষার দিনে ইলিশ পাতে পড়বে না, তা হতেই পারে না।
এহেন ইলিশপ্রেমীদের জন্য সত্যিই আজ, সোমবার বড় ভাল দিন। কারণ, এদিনই দিঘাতে উঠল মরশুমের প্রথম ইলিশ। আর বেশি দেরি নয়। খুব শীঘ্রই বাজারে মিলবে বড় মাপের ইলিশ।
[আরও পড়ুন: কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে ট্রলারের ব্যাটারি বিস্ফোরণ, জখম ১ মৎস্যজীবী]
করোনা সংক্রমণের ভয়ে কাঁথি মহকুমার উপকূলবর্তী মৎস্য বন্দরগুলিতে সমুদ্রে মাছ ধরা অর্থাৎ ট্রলার-লঞ্চ-নৌকোয় সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে জোরদার বিরোধিতা শুরু হয়েছিল। ফলে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ৬১ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৪ জুন। ১৫ জুন থেকে ফের মাছ ধরা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে বন্ধ রাখা হয়েছিল দিঘা (Digha) মোহনার মাছের বাজার। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে নামলেও মাছ বিক্রি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি সংক্রমণের আতঙ্কে সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানান অনেকেই। তা সত্ত্বেও ট্রলার মালিকদের একাংশ সমু্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সায় দেন। তবে মৎস্যজীবীদের একাংশ সাফ জানিয়ে দেয়, তাঁরা ট্রলার নামাতে রাজি নয়।
এমনই নানা টানাপোড়েনের পর গত ১ জুলাই ইলিশ ধরতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। ওই মৎস্যজীবীদের ট্রলারেই এল মরশুমের প্রথম ইলিশ। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হলে আরও ভাল ইলিশ পাওয়া যাবে বলেই আশা মৎস্যজীবীদের।
মরশুমের প্রথম ইলিশ বলে কথা, তাই তা বাজারে বিকোচ্ছে বেশ চড়া দামে। কেজি প্রতি ৮০০-১০০০ টাকা দরে বিকোচ্ছে তা। সাধারণ মধ্যবিত্তের হাতে ছেঁকা লাগছে। তবে মাছে-ভাতে বাঙালির ইলিশ কিনতে কোনও কার্পণ্য নেই। রূপোলি শস্য দিব্যি বিকোচ্ছে বাজারে। দীর্ঘ লকডাউনের খরা কাটিয়ে লক্ষ্মীলাভ হওয়ায় খুশি মৎস্যজীবীরাও।
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণ নিয়ে বৈঠকের ভিডিও করায় গ্রেপ্তার ২ যুবক, প্রতিবাদে উত্তাল বনগাঁ]
The post মরশুমের প্রথম ইলিশ উঠল দিঘায়, খুব সস্তায় পাতে পড়তে পারে রুপোলি শস্য appeared first on Sangbad Pratidin.