অর্ণব দাস, বারাসত: দলের নির্দেশ। মধ্যমগ্রাম পুরসভার (Madhyamgram Municipality) প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathin Ghosh)। তবে তাঁর জায়গায় পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব কে সামলাবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলেই সূত্রের খবর। খুব দ্রুত তা স্থির হবে। ততদিন পর্যন্ত পুরসভার তরফে নাগরিক পরিষেবায় কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বাস তাঁর।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দলে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ প্রথা চালু করেছেন। এই নিয়ম অনুযায়ী, একের বেশি দায়িত্ব নিয়ে কোনও পদে থাকতে পারবেন না দলের কেউই। এই সমীকরণেই তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো একাধিক জেলা সভাপতিকে বদল করেছেন। কারণ, তাঁদের অনেকেই মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। আবার কেউ সংগঠনের অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন। সেই কারণেই এই রদবদল। রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রামের বিধায়ক থাকাকালীনই পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর একুশের ভোটে মধ্যমগ্রাম থেকে জিতে তিনি এখনও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে আবর্জনার স্তূপ থেকে উদ্ধার কয়েকশো Aadhaar Card! প্রশ্নের মুখে আমজনতার নিরাপত্তা]
সেই কারণে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ফর্মুলা মেনে তাঁকে কোনও একটি পদ ছাড়তে হতো। মঙ্গলবার পুরপ্রশাসকের পদ থেকে তাই ইস্তফা দিতে চলেছেন রথীন ঘোষ। সূত্রের খবর, সোমবার এ নিয়ে পুরসভার অন্দরে আলোচনা হয়। কিন্তু তখনও স্থির করা যায়নি বর্ষীয়ান রথীন ঘোষের বদলে পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব আপাতত কে নেবেন। সেই কারণে তাঁর ইস্তফা বিলম্বিত হয়। ঠিক হয়েছে, আগামী ৫ তারিখের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন। সম্ভবত তিনিই প্রথম ব্যক্তি যাঁকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়া নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: মহিলা হস্টেলে ভূতের ভয়! ছাত্রী বিক্ষোভে ধুন্ধুমার দুর্গাপুর]
প্রসঙ্গত, পুর নির্বাচন না হওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যের সবক’টি পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অধীনে চলছে নাগরিক পরিষেবা প্রদানের কাজ। চেয়ারম্যানরাই আপাতত পুরপ্রশাসক। রথীন ঘোষের বদলে এখন নতুন পুরপ্রশাসক পদে কে বসেন, সেদিকে আগ্রহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে মধ্যমগ্রাম পুর প্রশাসকমণ্ডলী এই নির্বাচনের জন্য বৈঠকে বসে। তাতে ঠিক হয়েছে, ৫ তারিখের মধ্যে রথীন ঘোষ ইস্তফাপত্র পেশ করবেন।