সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুলে নেওয়া হচ্ছে সংসদের ক্যান্টিনের (Parliament canteens) খাবারের ওপর দেওয়া ভরতুকি (Food subsidy)। বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই এই ভরতুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। ফলে একলাফে দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে খাবারের। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) একথা জানিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনের সময় এবার খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকছে এক পাঁচতারা হোটেল। শেষ হতে চলেছে ৫২ বছরের ঐতিহ্য। এতদিন উত্তর রেলওয়ের হাতেই ছিল এই দায়িত্ব।
আগামী শুক্রবার থেকেই সংসদের ক্যান্টিনে কার্যকরী হবে নতুন মূল্য তালিকা। এর আগে ২০১৬ সালেও অবশ্য খাবারের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এবার তুলেই নেওয়া হল ভরতুকি। এর ফলে সরকারের বার্ষিক প্রায় ৮ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে বলে জানাচ্ছে এক সূত্র। ওম বিড়লা অবশ্য এমন কোনও অঙ্কের কথা না জানালেও সাশ্রয়ের পরিমাণ যে কয়েক কোটি হবে তা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ”ভরতুকি তুলে নেওয়ার ফলে দাম বাড়লেও তা বাজারের চলতি দামের থেকে কমই রাখা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, সংসদের ক্যান্টিনের খাবারের দামের দু’ভাগ দেয় লোকসভা সচিবালয়। একটি ভাগ দেয় রাজ্যসভা।
[আরও পড়ুন: করোনামুক্তির পথে দেশ! ১৪৭ জেলায় গত এক সপ্তাহে হদিশ মেলেনি নতুন আক্রান্তের]
ঠিক কী হারে বাড়বে দাম? জানা যাচ্ছে এক কাপ চায়ের দাম আগের মতোই ৫ টাকা থাকলেও কফি ও লেবু চায়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ১০ ও ১৪ টাকা। নিরামিষ থালির দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হল ১০০ টাকা। আমিষ মধ্যাহ্নভোজ বুফের দাম হয়েছে ৭০০ টাকা। রুটির দামও ২ টাকার পরিবর্তে বেড়ে হচ্ছে ৩ টাকা। মাটন বিরিয়ানির দাম ১৫০ টাকা।
বাজেট অধিবেশনের দিন খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব পেয়েছে অশোক হোটেল। তবে পাঁচতারা এই হোটেলের মূল্য তালিকা সংসদে পরিবেশিত খাবারের ক্ষেত্রে কমই থাকবে। নিরামিষ থালির দাম পড়বে ১০০ টাকা। তাতে থাকবে কড়াই পনির, মিক্সড ভেজ ড্রাই, ডাল সুলতানি, পিস পোলাও, চাপাটি, স্যালাড, শশার রায়তা, পাপড় ও কালো জাম। থাকবে ৫০ টাকার মিনি থালি। এখানেই শেষ নয়। থাকবে আরও নানা ধরনের ভাজাভুজি ও থালির আয়োজন।