সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বাসনার সেরা বাসা রসনায়'। রবীন্দ্রনাথের এই উপলব্ধি আসলে আপামর বাঙালিরই। আর সেই ভোজন রসিকদের এখন ঠিকানা নিউটাউন! শুরু হয়েছে 'ভোজবাজি ২০২৫'। এক কথায় বললে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষদের জন্য এক অভিনব খাদ্য উৎসব। কিন্তু আসলে তা যেন এর থেকেও বড় কিছু। সিটি স্কোয়ার মাঠ যেন রাজকীয় খাদ্য ভাণ্ডারে পূর্ণ হয়ে উঠেছে! সুস্বাদু খাবারের গন্ধে ম-ম করছে গোটা এলাকা। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। রয়েছে অভিনব আলোচনার আসরও। যা সবার থেকে আলাদা করে তুলেছে 'ভোজবাজি' খাদ্যমেলাকে।
এই খাদ্যমেলা মে মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামিকাল, সোমবার পর্যন্ত। ইউর ভয়েসের উদ্যোগে, হিডকো ও এনকেডিএ-র সহায়তায় এই বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন হিডকো ও এনকেডিএ-র উচ্চপদস্থ কর্তারা। কী কী রয়েছে এই মেলায়? কেনই বা দেশের মধ্যে সেরা বলা হচ্ছে এই খাদ্যমেলাকে?
৫০টির বেশি ফুড স্টল। বাড়ির খাবার থেকে ফাইভ স্টার হোটেল ও জনপ্রিয় রেস্তরাঁর জিভে জল নিয়ে আসা আইটেম। চাউম্যান, ডি'বাপি, বাংলার দই, ফেলু মোদকের মতো খাবারের জনপ্রিয় সংস্থার স্টল। একাধিক চাইজিন খাবার-সহ, মিষ্টির পসরা মন ভুলিয়ে দেবে আপনার। রয়েছে ফুচকা থেকে শুরু করে চিকেন কাবাব, বিরিয়ানিও আরও কত কী! খাদ্যমেলায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত, পরিচালক অরিন্দম শীল-সহ অনেকে। মেলায় অন্য মেজাজে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রীকে। ফুচকা খেতেও দেখা যায় তাঁকে।
মেলায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত, পরিচালক অরিন্দম শীল। নিজস্ব চিত্র
শুধু খাদ্যমেলা নয়। এখানে আয়োজন করা হয়েছে, 'কে হবে সেরা রাঁধুনি' প্রতিযোগিতাও। প্রতিযোগিতায় ৭৫ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যে ৩ জনকে বিজয়ী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ১০ জন বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছেন। আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিলের সহযোগিতায় 'মশলা থেকে চলচ্চিত্র: বাঙালির ব্যবসা'- শীর্ষক আলোচনাও উপভোগ করেন দর্শকরা। সব মিলিয়ে 'ভোজবাজি ২০২৫' শুধুমাত্র খাদ্যমেলা নয়, কার্যতই উৎসবে পরিণত হয়েছে। কলকাতার বুকে এমন আয়োজন অভূতপূর্ব।
